ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

প্লাস্টিক দূষণ রোধে সিগারেট ফিল্টার ও ভেপোরাইজার নিষিদ্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৪
প্লাস্টিক দূষণ রোধে সিগারেট ফিল্টার ও ভেপোরাইজার নিষিদ্ধের দাবি

ঢাকা: সিগারেটের ফিল্টার ও ভেপিং পণ্যে ব্যবহত প্লাস্টিক নিষিদ্ধের মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে স্টপ টোব্যাকো পলিউশন অ্যালায়েন্সের সদস্য গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে এ আহ্বান জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

চিঠিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) এর ১৮৩টি সদস্য দেশের অংশগ্রহণে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এ অনুষ্ঠিত কপ-১০ এর সভায় গৃহীত আর্টিক্যাল ১৮ (পরিবেশ সুরক্ষা) বিষয়ক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত তুলে ধরা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিগারেট ফিল্টার ও ভেপোরাইজার দ্রুত নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে। যেহেতু এগুলো অপ্রয়োজনীয়, পরিহারযোগ্য ও ক্ষতিকর, একক ব্যবহার্য প্লাস্টিক যা দ্রুত পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে, অণুজীব ও সামুদ্রিক জীব ধ্বংস করে এবং সাগরে দূষণ ঘটায়।

অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে ডিসপোজেবল ভেপিং পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ড সিগারেটের ফিল্টার নিষিদ্ধকরণে কাজ করছে এবং বেনিন, চাদ ও গাম্বিয়া এক্ষেত্রে তামাক শিল্পের ওপর কর আরোপ করেছে।

তামাকের পরিবেশ দূষণ বিষয়ে প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৭১ বিলিয়ন সিগারেট ফিল্টার বর্জ্য হিসেবে ছড়ায়। সিগারেট ফিল্টার প্রকৃতির সঙ্গে মিশতে প্রায় এক দশক সময় নেয় এবং মিশে যাওয়ার সময় সাত হাজারেরও বেশি রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করে। প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় সরকারের উচিত হবে সিগারেট ফিল্টার ও ভেপোরাইজার নিষিদ্ধ করা।

ডব্লিউএইচও এফসিটিসি’র সদস্য হিসেবে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক বৈশ্বিক চুক্তি বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা রয়েছে বাংলাদেশের। প্লাস্টিক দূষণ রোধে প্রণীত প্রাথমিক খসড়া চূড়ান্তকরণে আগামী ২৩-২৯ এপ্রিল আইএনসি-৪ সভায় সিগারেট ফিল্টার এবং ভেপোরাইজারকে পরিহারযোগ্য ও ক্ষতিকর হিসেবে নিষিদ্ধ করা, সিগারেটের ফিল্টারকে ক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জ্য হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা এবং তামাক কোম্পানিগুলোর এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার রেস্পন্সিবিলিটি (ইপিআর) কার্যক্রমকে প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় দুটিকে সমন্বিতভাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছে প্রজ্ঞা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৪
আরকেআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।