ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। শুধু ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে যোগদান করেছেন।
শনিবার (২৩ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন পরিষদের সভাপতি জাবের মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে এক ঘণ্টা মিটিং হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাচ্ছি না। কারণ ঢাকা মেডিকেল হচ্ছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় হাসপাতাল। তবে অন্য হাসপাতালের যারা কর্মবিরতি করছে তাদের সঙ্গে আমাদের একাত্মতা আছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন এবং পরিচালক আগামীকাল আমাদের বিষয় নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। তাই আগামীকাল পর্যন্ত আমরা অপেক্ষায় থাকলাম আপাতত আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করে কাজে ফিরে যাচ্ছি। আমাদের দাবি না মানলে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ভাতা বাড়ানো ও বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ চারটি দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি ঘোষণা করেন সারাদেশের পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
শনিবার (২৩মার্চ) সকাল ৯টা থেকে শহীদ মিনার থেকে তাদের কর্মবিরতির ঘোষণা করা হয়। সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা এসব চিকিৎসকরা। সেখানে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে মানবন্ধন করেন তারা।
এরপর দুপুরের দিকে পদযাত্রা করে অবস্থান নেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনের রাস্তায়।
তাদের দাবিগুলো হলো- পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৫০ হাজার, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৩০ হাজার করতে হবে। এফসিপিএস, রেসিডেন্ট, নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের বকেয়া ভাতা পরিশোধ করতে হবে। বিএসএসএমইউ এর অধীন ১২ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের রেসিডেন্ট এবং নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতা পুনরায় চালু করতে হবে। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন সংসদে পাস ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ সময় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবস্থান করা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের কাছে ৪ দাবি ও কর্মবিরতির কথা জানান এসব চিকিৎসকরা।
পরবর্তিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাদের উদ্দেশে বলেন, আমি তোমাদের কাজটা হাতে নিলাম। কাল বা পরশু সময় করে একটি মিটিং করবো বিষয়টি নিয়ে। যত দ্রুত সমাধান করা যায় সেটি আমি করবো। এরপর তোমাদের জানাবো।
তিনি বলেন, আগে তোমাদের দাবি দাওয়া নিয়ে কি হয়েছে সেটি আমাকে বলবে না। আমি নিজে চিকিৎসক, কাজেই আমি তোমাদের সবকিছু জানি। সব চিকিৎসকের মানসম্মান নির্ভর করে তোমাদের ওপর। তোমরা যদি ভালো কাজ করো তাহলে সবাই আমার প্রশংসা করবে। দরকার হলে আমি এটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবো। কারণ তোমাদের ভালোভাবে রাখতে না পারলে আমি কাজ আদায় করতে পারবো না, জনগণ চিকিৎসা সেবা পাবে না। কাজেই তোমরা যে যার ঘরে চলে যাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
এজেডএস/জেএইচ