ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বেড়েই চলছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা

আবু খালিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪
বেড়েই চলছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দিনে ও রাতে প্রায় পাল্লা দিয়ে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)তে। রোগী ছাড়া তো পাচ্ছেই না, তাপদাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আইসিডিডিআর,বিতে বেড়েই চলেছে পেটের পীড়াজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।



আইসিডিডিআরবি,র নিবন্ধন অনুযায়ী, গত রোববার ৭০০ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হন এখানে। সোমবার এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৪২ এ। আর মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৫৫ জন রোগী।

চিকিৎসকদের পরামর্শ, তীব্র এই তাপদাহে বাইরের খোলা খাবার ও পানি একেবারেই খাওয়া যাবে না।

আইসিডিডিআরবি’র তথ্য ব্যবস্থাপনার সহকারী অফিসার নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দিন ও রাতে প্রায় একইহারে ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হচ্ছে এখানে। তবে আজ রাতে সংখ্যাটা আরও বেশি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাত সাড়ে ৩টার দিকে যাত্রাবাড়ী থেকে আবদুল জলিল তার সহকর্মী ডায়রিয়ার রোগী নুরুল ইসলামকে নিয়ে আসেন।

এর ঠিক ৩ মিনিটের মাথায় মিরপুর ১ নম্বর থেকে প্রায় ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা (জবেদা বেগম) মাকে নিয়ে আসেন রেখা। এভাবে কয়েক মিনিট পরপরই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে হাজির হচ্ছেন স্বজনরা।

আবদুল জলিল বাংলানিউজকে জানান, তারা এক সঙ্গে ভ্যান চালান। রাতে হঠাৎ করে নুরুল অসুস্থ হয়ে পরে। কয়েকঘণ্টা অপেক্ষা করার পর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সবার পরামর্শে তিনি নুরুলকে এখানে নিয়ে এসেছেন।

রেখা বলেন, গত রোববার হতে আমার মায়ের পাতলা পায়খানা শুরু হয়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থার উন্নতি হয় না। সোমবার দিনগত রাতে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যায়।

রাতে আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের মূল ফটক পার হতেই দেখা যায় রোগীর স্বজনদের খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করার চিত্র। ‍

এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলার মুকুলের সঙ্গে কথা হয়। মুকুল তার বোনকে রাত দশটার দিকে এখানে ভর্তি করান।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, তার বোন (কাকলী) সন্ধ্যার সময় হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাকলীকে ভর্তি করার পর তিনি এখানে অপেক্ষা করছেন।

সরেজমিনে আরও দেখা যায়, যেসব রোগী ভর্তি হচ্ছেন তাদের সিংহভাগই তৃণমূল পর্যায়ের শ্রমজীবী মানুষ।  

কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানান, গরম আর বাইরের খোলা খাবার খাওয়ার কারণেই মূলত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন রোগীরা। বিশেষ করে তরমুজ, ডাবের পানি পান করা রোগীর সংখ্যাই বেশি।

এই তাপদাহে সচেতনতার পাশাপাশি বাইরের খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।