ঢাকা: গান শুনতে কে না ভালোবাসে। চিত্ত বিনোদনের অন্যতম সঙ্গী এ শিল্পটি স্ট্রেস কমানো ও কাজে উদ্যম ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গীত শিশুদের কথা বলা, শ্রবণ ও যোগাযোগের দক্ষতা বাড়িয়ে তোলে। গান শোনার ফলে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়, ফলে এটি স্মৃতিশক্তি বাড়ায় ও মস্তিষ্কের তিক্ষ্ণতাকে অক্ষুণ্ণ রাখে।
মন ভালো রাখতে গান শোনার জুড়ি নেই। এটি তাৎক্ষণিকভাবে মুড পাল্টে দিতে সক্ষম। সঙ্গীত মস্তিষ্ক থেকে ডোপামাইন নামে জারক রস নিসৃত করতে সাহায্য করে, যা ওষুধ হিসেবে কাজ করে। ডোপামাইন নিঃসরণের ফলে মানুষ আনন্দ, উত্তেজনা ও প্রফল্লবোধ করে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, গান শুনলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। প্রিয় গান শোনার সময় মস্তিষ্ক থেকে এনডোরফিন নিসৃত হয়, যা রক্তনালীতে রক্ত সঠিকভাবে চলাচল করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন ৩০ মিনিট গান শুনলে উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রেস, ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গান মানুষের হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অনেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গান শোনেন। এতে শরীরের ক্লান্তি নিমিষেই দূর হয়ে যায়। সঙ্গীত ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সঙ্গীত মানুষকে ইতিবাচকভাবে ভাবতে শেখায়।
এছাড়াও সঙ্গীত স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা কমিয়ে আনে। এটি শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে। যেমন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, হৃদরোগ, হাড় ক্ষয়, রক্তচাপ বাড়ানো ও স্মৃতিশক্তি কমানো।
সঙ্গীত অনেকটা থেরাপির মতো কাজ করে। রাগ কমিয়ে মনকে শান্ত করে এবং কল্পনাশক্তি বাড়ায়। রক্তচাপ ঠিকঠাক রাখা ও শরীরের ব্যথানাশক হিসেবেও কাজ করে সঙ্গীত।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৫