ফরিদপুর: ফরিদপুরে ডায়াবেটিক চক্ষু চিকিৎসা (রেটিনা ক্লিনিক) কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শহরের পশ্চিম খাবাসপুরের আনোয়ারা-হামিদা চক্ষু হাসপাতালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দেশের স্বনামধন্য রেটিনা বিশেষজ্ঞ ডা. নিয়াজ আবদুর রহমান।
এ সময় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গণপতি বিশ্বাস, জেলা বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, আনোয়ারা-হামিদা চক্ষু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. মোহসীন বেগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. মোহসীন বেগ জানান, এ রেটিনা ক্লিনিকে রেটিনাল এনজিওগ্রাম ও রেটিনাল লেজারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, চক্ষু চিকিৎসার আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের এ চিকিৎসা পদ্ধতি ফরিদপুর জেলা বা তার আশেপাশের জেলা শহরগুলোতে নেই।
উদ্বোধনের দিনই রেটিনাল ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ৬৩ জন রোগী নাম অর্ন্তভুক্ত করেছেন।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মনির আহমেদ জানান, এ হাসপাতালে বিত্তবান চক্ষু রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসাসেবা সারা বছর ধরেই প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি নবপর্যায়ে এ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সোমবার পর্যন্ত ৩৫২ জন দরিদ্র চক্ষু রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, ডায়াবেটিক রোগীদের যেসব শারীরিক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে চোখ। সঠিক সময়ে চোখের প্রকৃত সমস্যা জানা না গেলে ওই রোগীদের স্থায়ীভাবে অন্ধত্বের শিকার হতে হয়। তবে আগে থেকেই রেটিনার ছবি তুলে তা বিশ্লেষণ করে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা গেলে এ রোগজনিত কারণে স্থায়ী অন্ধত্বের হার কমে আসবে। আর চোখের চিকিৎসার সবচেয়ে আধুনিক ধাপ হচ্ছে লেজার দিয়ে চিকিৎসা। লেজার দিয়ে চিকিৎসা করা গেলে রোগীদের ঝুঁকি কম হবে এবং নিরাময়ের হারও অনেক বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
এএসআর