ঢাকা: চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৬৪ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়ছেন। শুধু তাই নয়, বহু মানুষ ক্যান্সার ও কিডনি ফেইলিয়রের মতো রোগের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে পারছেন না।
সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আইসিডিডিআরবি’তে শুরু হওয়া এক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম মুজাহেরুল হক বলেন, বাংলাদেশে যথেষ্ট সংখ্যক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মী থাকলেও নাগরিকরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের চিকিৎসা গ্রহণের জন্যও মানুষের আর্থিক সক্ষমতা যথেষ্ট নয়। ফলে রোগ প্রতিরোধের ওপর আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণকারীদের মধ্যে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ অন্যের ব্যবহৃত সূচেঁর সাহায্যে মাদক নেন। এর মধ্য দিয়ে তারা এচআইভি ও হেপাটাইটিস বি’র মতো সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চমাত্রার ঝুঁকির মধ্যে পড়েন।
বিশ্ববিদ্যালয় জনস্বাস্থ্য বিভাগের শিক্ষক ডা. সাজিয়া হক তার গবেষণা প্রতিবেদনে দেখান, ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ বহুগামী যৌনাচারে অভ্যস্ত। যাদের মধ্যে ৬১ দশমিক ২ শতাংশ শারীরিক সর্ম্পকের সময় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেন না।
অন্য এক গবেষণায় দেখা যায়, ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ হতাশা, ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ চাকরি নিয়ে মানসিক চাপ, ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপ, ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ ডায়াবেটিস এবং ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ পারিবারিক সমস্যায় ভুগছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৫
এমএন/জেডএস