ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শেবাচিমে প্রথমবারের মতো এনজিও প্লাস্টি অপারেশন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৫
শেবাচিমে প্রথমবারের মতো এনজিও প্লাস্টি অপারেশন ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

বরিশাল: বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলে প্রথমবারের মতো হৃদ রোগে আক্রান্ত রোগী’র করনারি এনজিওপ্লাস্টি (হার্টে রিং প্রতিস্থাপন) অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এ অপারেশন সম্পন্ন হয়।



ভোলার লালমোহনের গরীব রোগী সিদ্দিকুর রহমানের হৃদপিণ্ডে সফলভাবে প্রথমবারের মতো রিংটি প্রতিস্থাপন করেন ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. এম সালেহ উদ্দীন।

আর অপারেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং করেন হাসপাতালের পরিচালক ও চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নিজাম উদ্দিন ফারুক। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০ পর্যন্ত এ সফল অপারেশন সম্পন্ন করা হয়।

অপারেশনের নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. এম সালেহ উদ্দীন। তার সঙ্গে অপারেশন টিমে উপস্থিত ছিলেন ডা. আক্তারুজ্জামান, ডা. আবদুল মান্নান, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ইনচার্জ শামিমা ইয়াসমিন, ফরিদা বেগম ও শাহনাজ ইয়াসমিন এবং একমাত্র টেকনোলজিস্ট গোলাম মোস্তফা।

অপারেশন চলাকালীন সময় কার্যক্রমের সার্বিক পরিচালনা ও মনিটরিং করেন হাসপাতালের পরিচালক ও চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নিজাম উদ্দিন ফারুক।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এএসএম সরফুজ্জামান রুবেল, কার্ডিওলজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রনজিৎ চন্দ্র খা, কার্ডিওলজি বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান ডা. জাকির হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির, মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ মাকসুমুল হক প্রমুখ।

এর আগে গত বছরের (২০১৪ সাল) ২৪ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ কোটি টাকা মূল্যের ওই মেশিনটি দিয়ে ৮৩ রোগীর এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করানো হয়।

অপারেশন সম্পর্কে সহকারী অধ্যাপক ও ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. এম সালেহ উদ্দীন বলেন, সাধারণ এই অপারেশন করতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু যেহেতু বরিশালে এই প্রথম তাই ৩০মিনিট সময় নিয়েছি।

তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত বরিশালে এ অপারেশন করতে প্রয়োজন শুধু ম্যান পাওয়ার। এখানে আমাকে সহযোগীতা করতে প্রয়োজন আরো চিকিৎসক ও একজন টেকনোলজিস্ট।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ও চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নিজাম উদ্দিন ফারুক বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে (৮ ডিসেম্বর) বরিশালের বিজয় অর্জিত হয়। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্য মন্ত্রী নাসিমসহ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যসচিবের সহযোগীতায় বরিশালে হৃদরোগীদের রোগ মুক্তির বিজয় অর্জনের শুভ সূচনা হয়েছে।

আগামীতে আমাদের তারা সহযোগীতা করলে বরিশালে বিশ্বের সবার্ধিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে গত বছরের ২৪ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ কোটি টাকা মূল্যের মেশিন দিয়ে ৮৩ রোগীর এনজিও গ্রাম পরীক্ষা করানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।