বুধবার (৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারি হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে এক রোগীর অ্যাটেনডেন্টের ওপর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ‘হামলার’ ঘটনার পর সৃষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই হামলার ঘটনার পর চার ইন্টার্নকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এর প্রতিবাদে দেশের বেশ কিছু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্মঘট পালন করে ইন্টার্নরা, এতে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। পরে চার ইন্টার্নের বরখাস্তের নির্দেশনা তুলে দেওয়ার আশ্বাসে ধর্মঘট তুলে নেয় ইন্টার্নরা।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালে বহিরাগতদের চাপ কমাতে রোগীদের অ্যাটেনডেন্ট সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও রোগীর অ্যাটেনডেন্টদের জন্য নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র ইস্যু ও ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে পরিচালকদের নির্দেশ দেন।
তিনি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য নির্দিষ্ট রংয়ের পোশাক নির্ধারণেরও নির্দেশনা দেন। বলেন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের মধ্যে যাদের জন্য সরকারি পোশাক বরাদ্দ করার বিধান রয়েছে, তাদের জন্যও নির্দিষ্ট রং নির্ধারণ করে দেওয়ার কথাও।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে মানুষ কম খরচে আধুনিক সেবা পাচ্ছে বলে সব সময় অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকে। ফলে চিকিৎসকদের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়।
এই সময়গুলোতে রোগীর স্বজন ও চিকিৎসক, নার্স বা কর্মচারীদের মধ্যে যেন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন মন্ত্রী।
কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার যেন সৃষ্টি না হয় সেদিকেও পরিচালকদের দৃষ্টি রাখার তাগিদ দেন নাসিম। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোকে দালাল ও অবৈধ স্থাপনামুক্ত রাখার জন্যও তিনি পুনরায় নির্দেশ দেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ দেশের সব সরকারি হাসপাতালের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭
এমএন/এইচএ/
আরও পড়ুন
** হাসপাতালে কর্মচারীদের জন্য আলাদা রংয়ের পোশাক