ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সুনামগঞ্জে মা ও শিশুর দক্ষ সেবা বেড়েছে তিন গুণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
সুনামগঞ্জে মা ও শিশুর দক্ষ সেবা বেড়েছে তিন গুণ সুনামগঞ্জে মা ও শিশুর দক্ষ সেবা বেড়েছে তিন গুণ

ঢাকা: গত তিন বছরে সুনামগঞ্জে মা ও শিশুর দক্ষ সেবা গ্রহণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন গুণেরও বেশি। দক্ষ স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি সেবা পেয়েছে দরিদ্র ও হত দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা। সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় শিশু মৃত্যুর হার কমেছে অনেকাংশে।

এছাড়াও প্রকল্পের মনিটরিং মতে, ৫ শতাংশের মতো দক্ষ স্বাস্থ্য উদ্যোক্তারা প্রতিমাসে পাঁচ হাজার ও তারও বেশি রোজগার করছেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি’র ২০১৬ সালের এই প্রকল্পটির কর্ম এলাকায় পরিচালিত মা ও শিশু স্বাস্থ্য জরিপে এ তথ্য পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার রাজধানীর একটি হোটেলে স্বাস্থ্য সেবায় সামাজিক উদ্যোক্তা: সুনামগঞ্জের মা ও শিশু স্বাস্থ্যে অবস্থার পরিবর্তনে কেয়ার-জিএসকে ৩০০ জন দক্ষ স্বাস্থ্য সেবাদানকারী তৈরিতে সহায়তার ফলাফল, সফলতা ও শিখন শেয়ারিং বিষয়ে এক আলোচনাসভায় এ তথ্য উপস্থাপণ করা হয়।

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ উদ্যোগে পরিচালিত হয় কেয়ার-জিএসকে কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার ইনিশিয়েটিভ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) আব্দুল গফফার খান বলেন, এটা স্পষ্ট যে দুর্গম এলাকাগুলোতে সেবা প্রদানের কৌশলগুলো কাজ করছে না। এই পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ উদ্যোগটি সুনামগঞ্জে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষ করে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে এবং দরিদ্র ও হত দরিদ্রের মধ্যে সেবা প্রদানে অসমতা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে।

তিনি সকল উন্নয়ন সহযোগী পার্টনার ও জাতি সংঘের অঙ্গসংগঠন সমূহকে বিশেষ করে হাওর, চর উপকূল প্রভৃতি দুর্গম এলাকাগুলোতে এই উদ্যোগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর জন্য পরামর্শ দেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাঠ পর্যায়ে এই প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করে আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আমি বলতে পারি- ৩০০ জন স্বাস্থ্য উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে তারা সবাই স্থানীয় এবং এই প্রকল্প শেষে স্থায়ীভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। এই উদ্যোগটি স্থানীয় সরকার এবং কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলে পরিচালক ডেভিড প্রিটচার্ড বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের সঙ্গে বেসরকারি খাত বা মার্কেট ফোর্সের মাধ্যমে একটি স্থায়ীত্বশীল কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার সমন্বয় স্থায়ীত্বশীল মডেল তৈরি করবে।

উপসচিব নাহিদ সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কেয়ারের প্রকল্প পরিচালক আন্দ্রেজ গোঞ্জালো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এমএন/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।