সোমবার (২৯ মে) সকালেই সব ওয়ার্ড, টয়লেট ও ফ্লোরগুলো পরিষ্কার করা হয়। সকাল ৯টা থেকেই প্রতিটি বিভাগের চিকিৎসকরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে রোগী দেখছেন।
আচমকা এ পরিবর্তনে অবাক হলেও স্বস্তি ফিরেছে রোগীদের মধ্যে। অভিযোগের বদলে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশংসা করছেন তারা।
দুপুরে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসাপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন কামারখন্দের আব্দুস সালাম, লুৎফর রহমান, আব্দুল মজিদ, সার্জারি মহিলা ওয়ার্ডের সাবিনাসহ বেশ কয়েকজন রোগী ও স্বজনেরা বাংলানিউজকে জানান, চিকিৎসক সকালে এসে দেখে গেছেন, আর নার্সদের ডাকলেই কাছে পাওয়া যাচ্ছে। হাসপাতালের টয়লেট, বাথরুম ও ফ্লোরগুলোও ঝকঝকে পরিষ্কার করা হয়েছে।
তবে, কতোদিন স্বাভাবিক নিয়মে চলবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রোগীরা।
রোববার (২৮ মে) বিকেলে ‘১০ বার ডাকলেও রোগীর কাছে আসে না নার্স’ শিরোনামে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের পরই টনক নড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সোমবার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. উদয় নারায়ণ মোহন্ত সব ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। এদিকে, সকালেই আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আকরামুজ্জামান নিজেই বিষয়টি তদারকি করেন।
এ প্রসঙ্গে আরএমও ডা. আকরামুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হলেও ১০০ শয্যার জনবল দিয়েই এটি পরিচালিত হচ্ছে। তবে নার্সের কোনো সংকট নেই আমাদের এখানে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এসআই