ধুলাবালি থেকে শুরু করে খাদ্যের মধ্যদিয়েও অ্যালার্জি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর প্রভাব কিন্তু মস্তিষ্কেও কম নয়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুরা অ্যালার্জিতে ভোগে, স্কুলে তাদের রেজাল্ট খারাপ হয়। কেননা অ্যালার্জি ঘুমে সমস্যা করে; টানা ঘুমে বিঘ্ন ঘটায়। এতে শরীরে ক্লান্তি সৃষ্টি হয়।
মাথাব্যথার অন্যতম কারণ এই অ্যালার্জি। এমনকি সাইনাসেরও। এর কারণে স্নায়ুতন্ত্রে ব্লকেজের সৃষ্টি হয়। মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ পড়ে; ফলে মাথায় ব্যথা অনুভূত হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে অ্যান্টি-হিস্টামিন ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
‘অ্যালার্জি মূলত নাক এবং সাইনাসের একটি প্রদাহ’ বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ ডা. মার্ক অ্যারোনিকা।
তিনি বলেন, এই প্রদাহের কারণে ‘সাইটোকাইন’ নামক রাসায়নিকের নিঃসরণ ঘটে।
অ্যারোনিকা বলেন, ইনফেকশনের বিরুদ্ধে নির্গত সাইটোকাইন কাজ করে, তবে মানুষের চিন্তাশক্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ফলে দীর্ঘদিন এই সমস্যা চলমান থাকলে মাথায় ‘কুয়াশা’ বা বিকৃতি ঘটতে পারে। ঠাণ্ডার ফলেও সমস্যা হতে পারে। এগুলো মূলত আমাদের চিন্তা-ভাবনার শক্তি হ্রাস করে। এনে দেয় অবসাদ।
অ্যারোনিকা বলেন, মানসিক অবসাদ এবং অ্যালার্জির কোনো সমস্যা একত্রে মনে হলে দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এক্ষেত্রে দেরি করা যাবে না।
প্রাথমিক অবস্থায় আরাম পেতে নাকে বাষ্পের ভাপ নেওয়া যেতে পারে, পরিমিত বিশ্রাম জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৭
এমএজেড/আইএ