হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনগত মধ্যরাত পর্যন্ত এ অভিযোগের কোন কিনারা করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘটনা তদন্তে এদিন মধ্যরাতে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শহরতলীর বাদেকল্পা এলাকার মনু মিয়ার স্ত্রী পাপিয়া আক্তার গত ১০ ডিসেম্বর হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন। ওইদিনই তিনি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্মের পর থেকেই শিশুটি অসুস্থ থাকায় হাসপাতালের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আইসিইউতে রাখা হয়।
কিন্তু সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়ার সময় এ দম্পত্তিকে মেয়ে নবজাতক দেয়া হয়। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মনু মিয়া ও তার স্ত্রী। রাতে ছেলে নবজাতক দাবি করে গোটা হাসপাতালে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন তারা।
পরে বিষয়টি গোটা হাসপাতালে জানাজানি হয়। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ। কিন্তু রাত ১টা নাগাদ তিনি সেখানে অবস্থান করেও পরিবর্তন হওয়া ছেলে নবজাতককে উদ্ধার করতে পারেননি।
এ বিষয়ে বাংলানিউজকে লক্ষ্মী নারায়ণ বলেন, পরিবর্তন হওয়া নবজাতককে খুঁজে বের করতে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে হাসপাতালের প্রধান সহকারী খলিলুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শেষ পর্যন্ত এ শিশুটির ডিএনএ টেস্ট করারও প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান লক্ষ্মী নারায়ণ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এমএএএম/জেডএম