ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

সেরিব্রাল পালসি একটি জীবনব্যাপী সমস্যা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৮
সেরিব্রাল পালসি একটি জীবনব্যাপী সমস্যা সেরিব্রাল পালসি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সারা বিশ্বে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি ব্যক্তি ও শিশু সেরিব্রাল পালসিতে (সিপি) আক্রান্ত। আর এদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িত আছে আরো প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ। কেননা এটি একটি জীবনব্যাপী সমস্যা।

শিশু বয়সে সবচেয়ে বেশি সার্বিক প্রতিবন্ধকতা দেখা যায় সিপির কারণে। সিপি আক্রান্ত শিশুদের প্রতি চারজনের একজন কথা বলতে পারে না।

প্রতি তিনজনের একজন চলাফেরা করতে পারে না। প্রতি দু’জনের একজনের মধ্যে বুদ্ধিহীনতা দেখা যায়। এছাড়া প্রতি চারজনের একজন সিপির পাশাপাশি এপিলেপসি বা মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়।

এসব দিকগুলো বিবেচনায় রেখে শনিবার (০৬ অক্টোবর) সিপি আক্রান্তদের অধিকার, সমাজে গ্রহণযোগ্যতা এবং সমান সুযোগ-সুবিধা আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী সেরিব্রাল পালসি দিবস পালিত হচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি।

এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের (ইপনা) উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএসএমএমইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন- ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু, উপ-পরিচালক (একাডেমিক) ডা. কানিজ ফাতেমাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

র‌্যালি শেষে ইপনার সেমিনার রুমে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 'Holistic approach to cerebral palsy' শীর্ষক এ বৈজ্ঞানিক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার ও অধ্যাপক ডা শহিদুর রহমান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পালসি মস্তিষ্কের একটি স্থায়ী ও নন-প্রগ্রেসিভ ধরনের (যা পরবর্তীকালে মস্তিষ্কের ক্ষতিকে আর ত্বরান্বিত করবে না) স্নায়ুবিক ভারসাম্যহীনতা। যা গর্ভাবস্থায় বা জন্ম পরবর্তীকালে শিশুদের মস্তিষ্ক গঠনের সময় কোনো প্রকার আঘাতজনিত কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের নড়াচড়া, পেশির সক্ষমতা, সমন্বয় ও ভারসাম্যকে ব্যাহত করে।

সিপি রোগের লক্ষণগুলোর বিষয়ে ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার বলেন, লক্ষণ সমূহের মধ্যে আছে সাধারণভাবে হাত-পায়ের মাংসপেশি অসাড় হয়ে যাওয়া, চলাফেরা করতে না পারা, অস্থির কিংবা টলমল অবস্থায় হাঁটা, সঠিকভাবে পা ফেলতে না পারা, কথা বলতে কষ্ট হওয়া, হাত দিয়ে কোনো কিছু তুলতে না পারা, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গে কম্পন হতে থাকা, কোনো খাবার সহজে গিলতে না পারা, চোখের পেশির ভারসাম্যহীনতার কারণে নির্দিষ্ট দিকে দৃষ্টিপাত করতে না পারা, দাঁতের সমস্যা ইত্যাদি। এছাড়া এর সঙ্গে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীতা দেখা দিতে পারে। সিপি আক্রান্ত শিশুদের একই সঙ্গে মৃগীরোগ, অন্ধত্ব কিংবা বধিরতার মতো সমস্যাগুলোও থাকতে পারে।

সামগ্রিক বিষয়ে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, যেহেতু এটি একটি সারা জীবনের অনিরাময়যোগ্য রোগ। তাই আমাদের এ রোগ প্রতিরোধের দিকে সম্পূর্ণ নজর দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এমএএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।