ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

দেহে বহু রোগ বাঁধানোর কারণ ডায়াবেটিস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
দেহে বহু রোগ বাঁধানোর কারণ ডায়াবেটিস

সিলেট: রোগ হিসেবে যার বয়স হাজার বছরের। প্রসার-প্রতিপতিত্বে গজেন্দ্রগামী, আহ্বায়ক অনেক অসংক্রামকের। মহামারী আকারে যার বিস্তার বীভৎসতায় ভাবিয়ে তুলছে গোটা বিশ্বকে। তাকে চিনতে-জানতে, নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের এখনই সময়। সে সর্বনাশা শত্রুরূপী রোগটির নাম ডায়াবেটিস।  

যুগে যুগে, দেশে দেশে তার হরেক নাম- মধুমেহ, বহুমূত্র, ডায়াবেটিস মেলিশাস, এন্ডোক্রাইন এবং মেটাবলিক ডিসঅর্ডারস। গোটা বিশ্বে এখন প্রতি ৮ সেকেন্ডে একজন করে ডায়াবেটিস রোগী মারা যাচ্ছে- এ ভয়াবহ সংবাদ ভাবিয়ে তুলছে মানুষকে।

নীরব ঘাতক স্বভাবের ডায়াবেটিস রোগটি এমনিতেই দেহে বহু ব্যাধির (চোখ, হার্ট, কিডনিসহ মূল্যবান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যাপক ক্ষতিসাধনে সক্ষম) আহ্বায়ক।
 
এ রোগটির অব্যাহত অভিযাত্রায় শঙ্কিত সবাইকে এটি নিয়ন্ত্রণে সচেতন করে তুলতেই ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়।
 
বৃহস্পতিবার সিলেট ডায়াবেটিক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস (বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠা দিবস) এর আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ আহবাব।
 
এদিন দুপুরে সমিতির সভা কক্ষে সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ললিত মোহন নাথের পরিচালনায় সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাসপাতালের অফিস সহকারী মো. লিয়াকত হোসেন।
 
স্বাগত বক্তব্যে সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. এ জেড মাহবুব আহমদ বলেন, প্রায় ৬৩ বছর আগে ডায়াবেটিস রোগের জন্মলগ্ন থেকে এ দিবসটি পালনের প্রক্রিয়া চলছে, যাতে করে জনগণের মধ্যে ডায়াবেটিস সর্ম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের আজকের এ আয়োজন।
 
সমিতির সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠা হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সচেতন করে তুলতেই বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি তার প্রতিষ্ঠা দিবসকে ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়।
 
ডায়াবেটিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪২ দশমিক ৫ কোটি। অথচ ১৯৮৫ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ কোটি। এখনই এ রোগ প্রতিরোধ করা না গেলে ২০৩৫ সালের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ কোটিতে পৌঁছানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। শারীরিক শ্রম, নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট পরিমাণ খাওয়া এবং ওজন ঠিক রাখাসহ সচেতনা এ রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ।
 
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সমিতির কার্যকরী কমিটির সম্মানিত সদস্য সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী, সমিতির সম্মানিত জীবন সদস্য নেহাল আহমদ, হাসপাতালে আসা চিকিৎসা গ্রহণকারী সোনা মিয়া প্রমুখ।
 
এদিকে, নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সিলেট ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ‘বিনামূল্যে ডায়াবেটিস শনাক্তকরণ কর্মসূচি’র উদ্বোধন করেন সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. এ জেড মাহবুব আহমদ। এছাড়াও সকালে সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য সাংবাদিক আফতাব চৌধুরীর নেতৃত্বে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে প্রতিপাদ্য সম্বলিত ব্যানার ও প্লে-কার্ড সহকারে এক ‘বর্ণাঢ্য র‌্যালি’ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এনইউ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।