মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে কাজে যোগ না দিয়ে এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে চরম ভোগান্তিন্তে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হৃদরোগ বিভাগে রহিমা খাতুন (৯৫) নামে এক বৃদ্ধা ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬টা ৫ মিনিটে তিনি মারা যান। এ সময় রহিমা খাতুনের স্বজনেরা মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সিনিয়র স্টাফ নার্স, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ঊর্ধ্বতন চিকিৎসকের সঙ্গে বির্তকে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা ইন্টার্ন চিকিৎসক হালিমা ও আলেয়াকে লাঞ্ছিত ও মারধর করেন। এছাড়া ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
দাবিগুলো হলো- আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া, জরুরি বিভাগে নিরাপত্তা বাড়ানো, হোস্টেলে নিরাপত্তা ও চিকিৎসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন। এসময় তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দেন।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় কুমার রায় বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা যে দাবিগুলো তুলেছেন একজন চিকিৎসকের জন্য তা খুবই জরুরি। চিকিৎসকের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। তাদের দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি রোগীর স্বজনদের অনুরোধ করবো আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচারণ করুন।
এছাড়া ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্য বিশিস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান ডা. অজয় কুমার রায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
ওএইচ/