বুধবার (১৯ জুন) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি কার্যালয়ে এক ওরিয়েন্টেশন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. মোমিনুর রহমান মামুন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক, প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম মামুন প্রমুখ।
এসময় জানানো হয়, কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডিএনসিসির পাঁচটি অঞ্চলের আওতাধীন ৩৬টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
ডিএনসিসি এলাকার এ অঞ্চলে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৮২ হাজার ১৫ শিশুকে এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৫ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। মোট এক হাজার ৪৯৯টি কেন্দ্রের (স্থায়ী কেন্দ্র ৪৯টি ও অস্থায়ী কেন্দ্র ১৪৫০) মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন চলবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। ওই দিন সকাল ১০টায় মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সেন্টারে ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ক্যাম্পেইনে থাকবেন দুই হাজার ৯৯৮ জন স্বাস্থ্য ও স্বেচ্ছাসেবী। সেখানে সুপারভাইজার থাকবেন ১৮৩ জন আর তদারককারীতে থাকবেন ১০ জন।
সভায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেন, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টি শক্তির জন্য ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ‘এ’ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্তশূন্যতা এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
এসএইচএস/ওএইচ/