শনিবার (১০ আগস্ট) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) কমান্ড্যান্ট কনফারেন্স রুমে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ডা. হাবিব ই মিল্লাত; সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ফসিউর রহমান, ঢাকা সিএমএইচের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌফিকুল হাসান সিদ্দিকী, শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, অ্যাকশন ফর ডিফেন্সলেস পিপলের ডা. গ্রেগ পাটাকি (প্লাস্টিক সার্জন), ডা. অ্যানড্রুস চকে (নিউরো সার্জন), ডা. মার্সেলসহ (পেডিয়াট্রিকস ইনটেন্সিভিস্ট) রাবেয়া-রোকেয়ার বাবা ও মা।
এসময় শিশু দু’টির মাথায় সফল অস্ত্রোপচার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই পাবনার চাটমোহরে রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা বেগম দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় রাবেয়া ও রোকেয়া। জন্মের সময় থেকেই তাদের দু’জনের মাথা জোড়া লাগানো ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ লাখ জীবিত জমজদের মধ্যে মাত্র একটি মাথা জোড়া লাগানো বাচ্চা জন্ম নেয়। এদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই মৃত জন্ম নেয়, এক-তৃতীয়াংশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায়। তবে, বেঁচে থাকা ২৫ ভাগ শিশুর শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে মাথা আলাদা করার সুযোগ থাকে। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও বিরল অস্ত্রোপচারের ঘটনা। এতে সাফল্যের হারও খুব বেশি নয়।
সম্প্রতি ঢাকা সিএমএইচে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রাবেয়া-রোকেয়ার জোড়া মাথা আলাদা করা হয়। তারা হাসপাতালটির পোস্ট অ্যানেসথেটিক কেয়ার ইউনিটে ভর্তি আছে। কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
দুই বোনের আরেকটি অপারেশন (ক্রেনিও প্লাস্টি) নির্ধারিত রয়েছে দুই-তিন মাস পর।
সংবাদ সংম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সিএমএইচের প্লাস্টিক নিউরো সার্জন, নিউরো অ্যানেসথেসিয়া ও পেডিয়াট্রিক চিকিৎসক, ইনটেনসিভিস্ট, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট, হার্ট ফাউন্ডেশন, নিউরোসাইন্স ইনস্টিটিউট, শিশু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ দেশি-বিদেশি মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এসকে/একে