ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন যেসব মানা জরুরি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন যেসব মানা জরুরি

ঢাকা: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশ থেকে আসা দেশি-বিদেশি যে কোনো নাগরিকের ১৪ দিনের স্বেচ্ছা বা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন কিছু নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার জন্য বিধি-নিষেধগুলো মেনে চলা প্রয়োজন।

নির্দেশনাগুলো হলো- বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকা ও আলো-বাতাসের ব্যবস্থাসম্পন্ন আলাদা ঘরে থাকতে হবে। তবে সেটা সম্ভব না হলে অন্যদের থেকে থাকতে হবে অন্তত ৩ ফুট দূরে (ঘুমানোর জন্য আলাদা বিছানা ব্যবহার করতে হবে)।

কোনো অতিথির সঙ্গে দেখা যাবে না।  

সম্ভব হলে আলাদা গোসলখানা ও টয়লেট ব্যবহার করতে হবে। না হলে টয়লেটের জানালা খুলে রেখে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।  

ভালোভাবে হাত ধুয়ে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুদের কাছে যেতে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক।  

সঙ্গে কোনো পশু-পাখি রাখা যাবে না। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করা যাবে না, খাওয়ার থালা, গ্লাস, কাপ ইত্যাদি, তোয়ালে, বিছানা চাদর অন্য কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবে না। এসব জিনিসপত্র ব্যবহারের পর সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।  

কিন্তু দৈনন্দিন রুটিন, যেমন- খাওয়া, হালকা ব্যায়াম ইত্যাদি মেনে চলা যাবে। সম্ভব হলে বাসা থেকে অফিসের কাজ করা যোতে পারে।  

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইন শেষ হবে। তবে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ সময়সীমা ১৪ দিন।

এতকিছুর পরও কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেটে যোগাযোগ রাখা যাবে।  

শিশুদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত খেলার সামগ্রী দিতে হবে এবং খেলার পরে তা জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

সুস্থ ব্যক্তি ও যার দীর্ঘমেয়াদী রোগ (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, অ্যাজমা) নেই, এমন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের দেখাশোনা করতে পারেন। তবে তিনি ওই ঘরে বা পাশের ঘরে থাকবেন, অবস্থান বদল করবেন না।

যিনি দেখাশোনা করবেন তিনি কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বা তার ঘরে ঢুকলে, খাবার তৈরির আগে ও পরে, খাবার গ্রহণের আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, গ্লাভস পরার আগে ও খোলার পরে, হাত দেখে নোংরা মনে হলে প্রতিবার দুই হাত পরিষ্কার করতে হবে।  

এছাড়া খালি হাতে ওই ঘরের কোনোকিছু স্পর্শ করা যাবে না।  

কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির ব্যবহৃত বা তার পরিচর্যায় ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, টিস্যু ইত্যাদি অথবা অন্য আবর্জনা ওই রুমে রাখা ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে রাখতে হবে। এসসব আবর্জনা উন্মুক্ত স্থানে না ফেলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। ঘরের মেঝে, আসবাবপত্রের সব পৃষ্ঠতল, টয়লেট ও বাথরুম প্রতিদিন অন্তত একবার পরিষ্কার করতে হবে।  

পরিষ্কারের জন্য ১ লিটার পানির মধ্যে ২০ গ্রাম (২ টেবিল চামচ পরিমাণ) ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে সব স্থান ভালোভাবে মুছে ফেলতে হবে। সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এ পানি ব্যবহার করা যাবে।

কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিকে নিজের কাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি ব্যবহৃত কাপড় গুঁড়া সাবান/কাপড় কাচা সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ভালোভাবে শুকিয়ে ফেলতে হবে। নোংরা কাপড় আলাদা ব্যাগে আলাদা রাখতে হবে। মল-মূত্র বা নোংরা লাগা কাপড় ঝাঁকানো যাবে না এবং নিজের শরীর বা কাপড়ে যেন না লাগে তা খেয়াল রাখতে হবে।

কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন কোনো উপসর্গ দেখা দিলে (জ্বর, কাশি/সর্দি/গলাব্যথা/শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি) অতি দ্রুত আইইডিসিআর-এর হটলাইন নম্বরে অবশ্যই যোগাযোগ করে পরবর্তী করণীয় জেনে নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
পিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।