একইসঙ্গে করোনার চিকিৎসা সেবায় সংশ্লিষ্টদের জন্য এক হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণও (পিপিই) পৌঁছেছে রাজশাহীতে। এছাড়া এক হাজার পিস মাস্ক, এক হাজার হ্যান্ড গ্লাভস ও পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যানিটাইজার পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রামেক হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাতদিনের মধ্যেই গণপূর্ত বিভাগ মেশিনটির স্থাপন কাজ শেষ করবে। আর মেশিনটি স্থাপন হলেই এটির মাধ্যমে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা সম্ভব হবে। আশা করছি, এরমধ্যেই হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিটও চলে আসবে।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, মেশিনটি স্থাপন ও তা পরিচালনার জন্য ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞরা আসবেন। মেশিন স্থাপনের পর তারা স্থানীয়ভাবে যারা পরিচালনা করবেন তাদের প্রশিক্ষিত করবেন। খুব শিগগিরই কাজটি শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আর কেবল রাজশাহী নয় রংপুরসহ দেশের আরও ছয়টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর মেশিন পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই সেগুলো স্থাপন করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার করোনা চিকিৎসা সেবায় সংশ্লিষ্টদের জন্য এক হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণও পৌঁছেছে রাজশাহীতে। ঢাকা থেকে এসব উপকরণ পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস।
তিনি জানান, পিপিই স্বল্পতা কাটাতে এ এক হাজার পিস পিপিই কাজে দেবে। এছাড়া এক হাজার পিস মাস্ক, এক হাজার হ্যান্ড গ্লাভস ও পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যানিটাইজার পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার এসব পিপিই চিকিৎসা কাজে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, এতদিন মেশিনটির জন্য তারা অপেক্ষা করছিলেন। এটি না থাকায় তারা করোনা শনাক্তের কাজে হাত দিতে পারেননি। তাদের চাহিদা মতো শেষ পর্যন্ত মেশিনটি পৌঁছেছে। এখন মেশিনটি স্থাপন ও কিট এসে গেলে রামেক হাসপাতালেই পরীক্ষা করা যাবে। আর একদিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২০
এসএস/আরবি/