এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় নতুন করে মোট ৭৩৫ জনকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ মার্চ) পর্যন্ত এর সংখ্যা ছিল ৩২৭ জন।
রাজশাহী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী- জেলার নতুন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ৪৭ জনের মধ্যে ভারত থেকে এসেছেন ৩৬ জন, মালদ্বীপ থেকে একজন, দুবাই থেকে দুইজন, কাতার থেকে দুইজন, সৌদি আরব থেকে একজন, মালয়েশিয়া থেকে দুই জন, ফিলিপাইন থেকে দুইজন ও আরব আমিরাত থেকে একজন।
রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সিটি করপোরেশন এলাকায় হোম কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছে আট জনকে। এছাড়া পুঠিয়ায় চার জন, বাগমারায় ১৮ জন, মোহনপুরে ১২ জন, তানোরে ১ ও গোদাগাড়ীতে ৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ১৪ দিন তারা বাড়িতে থাকবেন।
তিনি বলেন, গত ১ মার্চ থেকে রাজশাহী জেলায় মোট ৭৫৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ দিন পূর্ণ হওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ২১৬ জনকে। এখন পর্যন্ত মোট হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৫৪২ জন। তারা বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। পুলিশের সহায়তায় তাদের বাড়িগুলো চিহ্নিত করে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে তাদের মনিটরিং করা হচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় নতুন করে ৭৩৫ জনকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ মার্চ) পর্যন্ত এর সংখ্যা ছিল ৩২৭ জন। তারাও ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মধ্যে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছে রাজশাহী জেলায় ৪৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে নয় জন, নওগাঁয় ৫৫১ জন, নাটোরে ১১ জন, জয়পুরহাটে ১৫ জন, বগুড়ায় একজন, পাবনায় ৭০ জন ও সিরাজগঞ্জে ৩১ জন।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিভাগটিতে ছয় হাজার ৪৭২ জন হোম কোয়ারেন্টিনে এসেছেন। এর মধ্যে জয়পুরহাটে একজন রোগী হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত রাজশাহী জেলা বা বিভাগে কোনো করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বাংলানিউজকে বলেন, ৭৩৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হলেও এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে কোনো করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। আর যারা হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তারা ১৪ দিন নিজ বাড়িতেই অবরুদ্ধ থাকবেন। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলবেন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও তাদের নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২০
এসএস/আরআইএস