উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডা. ইফতেখার আহম্মেদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, তিনটি ক্যাম্পেইনের আওতায় সাজেকের সবকটি গ্রামের ৬ মাস থেকে ১৫ বছরের নিচ পর্যন্ত প্রায় ১১-১২ হাজার শিশুকে ‘হাম-রুবেলা' টিকা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার প্রথম ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। প্রতিটি ক্যাম্পেইন চলাকালীন দ্রুত ভ্যাকসিন পৌঁছাতে হেলিকপ্টারসহ সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও উপজেলা প্রশাসন। কোনো শিশু যেন এ টিকা নেওয়া থেকে বাদ না পড়ে, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ নজরদারির রাখা হবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবিব জিতু বাংলানিউজকে জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ও বিভিন্ন এনজিও এবং ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় জরুরি হাম পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘হাম-রুবেলা’ টিকার তিনটি ক্যাম্পেইন হবে। এ লক্ষে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক টিম তৈরি করা হচ্ছে।
গত কয়েকমাসে সাজেকের কয়েকটি গ্রামে হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৮ শিশুর মৃত্যু হয়। এছাড়া প্রায় শতাধিকের ওপর শিশু হামে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও আবারও নতুন করে ওই ইউনিয়নের ১১টি গ্রামে হানা দেয় হাম। এতে আক্রান্ত হয় ১৫৫ শিশু এবং নিকেতন চাকমা নামে এক কিশোর মারা যায়। এ নিয়ে সাজেকে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
এসআরএস