উপজেলার ভবানীপুর, কালাইয়া, জোমাদ্দার হাটসহ অনেক ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিকগুলোতে গত প্রায় দেড় মাস ধরে কোনো ধরনের ওষুধ দিতে পারছে না। ক্লিনিকে ওষুধ না পাওয়ার কারণে রোগীদের খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বাড়িতে।
সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, ওষুধ না থাকার কারণে নিয়মিতভাবে ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মীরাও ক্লিনিকে আসছেন না। তারা বলেন, ক্লিনিকে ওষুধ নাই তো, গিয়ে কোনো কোজ নেই। আর এ কারণে স্থানীয় রোগীরা ক্লিনিকগুলোর স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ভবানীপুর গ্রামের রানু বেগম জানান, সর্দি-জ্বর নিয়ে আমার ২ বছরের শিশু মামুনের জন্য ক্লিনিকে ওষুধ নিতে এসেছিলাম। কিন্তু ক্লিনিকের আপারা বলেন, ওষুধ নেই। তাই খালি হাতে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি।
ভবানীপুর, কালাইয়া, জোমাদ্দার হাট ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. খান জাহান শিকদার, মামুন শেখ ও নাজমুন্নহার বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওষুধ নিয়েছিলাম। সেই ওষুধে চলছে অনেক দিন, কিন্তু গত দেড় মাস আগে ওষুধ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন রোগীদের ওষুধ দিতে পারছি না।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার মো. আমিন উল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখা ওষুধের চাহিদা অনুযায়ী তালিকা পাঠিয়েছে। করোনার কারণে সরবরাহ না থাকায় আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবারহ দিতে পারছি না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে, সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২০
ওএফবি