সোমবার (১৮ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৪২টি ল্যাবের মধ্যে ঢাকার মধ্যে ২১টি ও ঢাকার বাইরে ২১টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন, নারী চার জন। মৃত্যু ২১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন ও চট্টগ্রাম বিভাগে সাত জন, সিলেটে বিভাগে এক জন, রাজশাহী বিভাগের রয়েছেন এক জন। ২১ জনের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। আর বাসায় চার জনের। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আট জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে ছয় জন ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছে দুই জন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২১২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৫ জন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২৩১ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন তিন হাজার ৩৮৩ জন। হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন তিন হাজার ৪১২ জন। অদ্যাবধি কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৯০৭ জন। আর ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫০ হাজার ৮৮ জন। সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত। তৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেওয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ৯ হাজার ১৩৪টি। ঢাকার ভেতরে আছে তিন হাজার ১০০টি। ঢাকা সিটির বাইরে শয্যা আছে ছয় হাজার ৩১৪টি। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩৩৯টি, ডায়ালাসিস ইউনিট আছে ১০২টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
আরআইএস/