তারা তাদের নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের সমাজ ও সম্প্রদায়ের কল্যাণে কাজ করছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট যেমন ফেস মাস্ক, হ্যাজারডাস ম্যাটেরিয়াল স্যুট ছাড়া।
বেশিরভাগ মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরাই বিভিন্ন এনজিও এবং বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করছেন।
এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিটাল হেল্থকেয়ার সলিউশানস, ফ্রি করোনা ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। এর মাধ্যমে কোনো স্বাস্থ্যকর্মী যদি করোনায় আক্রান্ত হয় তবে তার চিকিৎসার জন্য অর্থ স্বাভাবিকের তুলনায় কম ব্যয় করতে হবে।
এই ইন্স্যুরেন্সের আওয়তায়, একজন হেলথ হিরো যদি কোভিড-১৯ টেস্টের ফলাফল পজিটিভ হয় তবে আইসোলেশনে থাকার জন্য ২০০০ টাকা, হাসপাতালে থাকতে হলে পাঁচ হাজার টাকা এবং লাইফ ইন্স্যুরেন্সের জন্যে ২০ হাজার টাকা দাবি করতে পারবেন। ইতোমধ্যে Care (SHE প্রজেক্টের অন্তর্গত), Shakti Foundation, Swisscontact, Lighter Bangladesh এবং আরও তিনটি সংস্থার ৫ হাজারের বেশি মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনা ইন্স্যুরেন্সের আওতায় আনা হয়েছে। এই হেলথ হিরোরা মূলত গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য, নারীর স্বাস্থ্য এবং কমিউনিটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নিয়জিত রয়েছেন।
ডিজিটাল হেল্থকেয়ার সলিউশানসের বিশ্বাস যদি এই মহামারির সময় মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের যথাযথ সহায়তা দেওয়া হয় তবে গ্রামের মানুষের জন্য আরও ভালো প্রাথমিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য সুবিধা এবং কমিউনিটির মধ্যে আরও দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপিত হবে। এছাড়াও হেলথ হিরোদের ডিজিটাল হেল্থকেয়ার সলিউশানসের ‘করোনা কেয়ার’ সার্ভিসটি ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা করোনার উপসর্গ চেক এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসকের সঙ্গে চ্যাট করতে পারবেন।
‘করোনা ইন্স্যুরেন্স, ডিজিটাল হেল্থকেয়ার সলিউশানসের একটি সময়োপযোগী এবং অনন্য অফার। কেয়ার বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবক, ফ্রন্ট লাইনের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যে অফারটি বেশ সুবিধাজনক। যদি তারা করোনায় আক্রান্ত হয় তবে তারা এর মাধ্যমে সহায়তা পাবে। আশা করি ডিজিটাল হেল্থকেয়ার সলিউশানস ভবিষ্যতে আরও এমন নতুন নতুন সেবা নিয়ে আসবে যার মাধ্যে আর্থিক সমস্যা কাটিয়ে উঠে জীবন রক্ষাকারী সেবা গ্রহণের দ্বার উন্মোচিত হবে বলে জানিয়েছেন ডা. মো. আহসানুল ইসলাম কো-অরডিনেটর-হেলথ সিস্টেম স্ট্রেন্থেনিং হেলথ ইউনিট, কেয়ার বাংলাদেশ।
‘চমৎকার উদ্যোগ আশা করি, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কভারেজটি আমাদের উপকারে আসবে। ডিজিটাল হেল্থকেয়ার সলিউশানসকে তাদের হেলথ ইন্স্যুরেন্সের জন্যে ধন্যবাদ।
করোনা ইন্স্যুরেন্স আমার উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে, ডিজিটাল ডাক্তার এবং আর্থিক সহায়তার সুযোগ আমাকে রোগী এবং মায়েদের সেবায় আরও বহুদূর এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস যোগাবে বলে জানান সুলতানা আক্তার, কমিউনিটি অর্গানাইজার, কেয়ার বাংলাদেশ।
আমরা ডিজিটাল হেল্থকেয়ার সলিউশানস থেকে স্বাস্থ্য সুবিধা পেয়ে সত্যিই খুব সন্তুষ্ট। এই সংকটকালে আমদের স্বেচ্ছাসেবীরা আরও অনুপ্রাণিত এবং তাদের কাজের প্রতি আরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কমিউনিটি স্বাস্থ্য-স্বেচ্ছাসেবীরা বুঝতে পেরেছেন যে করোনা কেয়ার প্যাকেজটি তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারটি আমলে নিয়েছে। এখন, তারা যেকোনো জায়গায় বা যেকোনো সময় প্রয়োজন হলে ডাক্তার সহজেই খুঁজে পেতে পারে। তারা ইন্স্যুরেন্সের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এবং আশা করি তারা তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় উপকৃত হবেন এই সুবিধা ব্যবহার করে। আশা করি, আমাদের প্রয়োজনে ডিজিটাল হেল্থকেয়ার সলিউশানস তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানান দীপন কুমার রায়, প্রজেক্ট অফিসার।
এছাড়াও ডিজিটাল হেল্থকেয়ার সলিউশানস আরো ১৫ হাজার ফ্রি করোনা ইন্স্যুরেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সচালক, প্রোজেক্ট কর্মী (কেয়ার বাংলাদেশ), মাঠকর্মী (কোস্ট ট্রাস্ট) ইত্যাদি পেশায় নিয়জিত থেকে যারা ফ্রন্টলাইনে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের জন্যে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটাল হেল্থকেয়ার সলিউশানস যারা অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ও সহায়তা দেবে।
ফ্রি করোনা ইন্স্যুরেন্স ছাড়াও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জনদের পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও পটুয়াখালীর কমিউনিটি প্যারামেডিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে অতিরিক্ত ১০০টি পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। এই পিপিই বিতরণ কার্যক্রম ডিজিটাল হেল্থকেয়ার সলিউশানস এবং Swisscontact-এর মধ্যে অংশীদারিত্বের উদ্যোগের একটি অংশ ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এএটি