ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনা চিকিৎসায় এসকেএফ'র রেমডেসিভির সরবরাহ শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
করোনা চিকিৎসায় এসকেএফ'র রেমডেসিভির সরবরাহ শুরু .

ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ রেমডেসিভির বাজারজাত করার অনুমোদন পেয়েছে দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

রোববার (২৪ মে) ওষুধ প্রশাসন এই অনুমতি দিয়েছে। এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) ডা. মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুমতি পাওয়ার পর এসকেএফ ইতোমধ্যে ১৩টি হাসপাতালকে এই ওষুধ সরবরাহ করেছে। এসকেএফ'র উৎপাদন করা রেমডেসিভির বাণিজ্যিক নাম রেমিভির।

এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ফরমুলেশন বিজ্ঞানীরা মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে রেমডেসিভির নিয়ে কাজ শুরু করেন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এসকেএফ রেমডেসিভির উৎপাদনের সব প্রক্রিয়া শেষ করে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওষুধ প্রশাসন আজ এটি বাজারজাতের অনুমতি দেয়।

এ ব্যাপারে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন বলেন, এসকেএফ চায় বাংলাদেশের মানুষকে করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা দিতে। এর চিকিৎসা যেন সহজলভ্য হয় সেজন্য এসকেএফ কাজ করছে। রেমডেসিভির গ্রুপের ওষুধ রেমিভির তৈরির পেছনেও সেই একই লক্ষ্য কাজ করছে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রাথমিক পরীক্ষায় উৎসাহব্যঞ্জক ফল পাওয়ায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সাইন্সেস কোম্পানির তৈরি এই ওষুধ সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ), জাপান সরকার এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি বিশেষ পরিস্থিতিতে জরুরি ঔষধ হিসেবে রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

রেমিভির উৎপাদন করা হয়েছে এসকেএফ'র ফারাজ আইয়াজ হোসেন ভবনের প্ল্যান্টে। সেখানে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ও সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ওষুধ তৈরি করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯ রোগের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে রেমডেসিভির। গিলিয়েডের নিজস্ব পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ঔষধ ব্যবহারের রোগীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মানুষের শিরায় ইনজেকশন হিসেবে এই ঔষধ প্রয়োগ করতে হয়। রোগের তীব্রতার ওপর এর ডোজ নির্ভর করে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য ৫ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
এসএমএকে/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।