বুধবার (২৭ মে) এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ও প্লাজমা থেরাপি সাব-কমিটির প্রধান প্রফেসর ডাক্তার এম এ খান সঙ্গে।
তিনি বলেন, ঈদের আগে থেকে বুধবার পর্যন্ত ছয় জন রোগীকে সংগ্রহ করা প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে।
প্লাজমা সংগ্রহ শুরু হওয়ার কার্যক্রম থেকে বুধবার পর্যন্ত আনুমানিক ১৯ জনের কাছ থেকে আমরা প্লাজমা সংগ্রহ করেছি। ডোনার পেলেই হাসপাতালে প্রতিদিন প্লাজমার সংগ্রহ কার্যক্রম চলতে থাকে।
এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মজিবুর রহমান জানান, হাসপাতালের নতুন ভবন কোভিড ইউনিট-২ তে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে বুধবার পর্যন্ত আনুমানিক চারশ রোগী ভর্তি আছে। এদের মধ্যে অনেক রোগী আছে কোভিডের পাশাপাশি তাদের ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন রোগী আইসিইউতে আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ঈদের দুই একদিন আগে থেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা কয়েকজন রোগীর শরীরে সংগ্রহ করা প্লাজমা থেরাপি পরীক্ষামূলক দেওয়া হয়েছে। প্লাজমা দেওয়ার রোগীদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গত ১৬ মে থেকে শুরু হয়েছে প্লাজমা সংগ্রহ। আর এই প্লাজমা থেরাপি ঠিকঠাক কার্যকর হলে উন্নত দেশগুলোর মতো দেশের করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এটি হবে নতুন দিগন্ত। এমনটা মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
এজেডএস/আরএ