রোববার (১৪ জুন) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আইটেক কাঠামোর আওতায় সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই চারটি নতুন ই-আইটেক কোর্স পরিচালিত হবে।
চারটি কোর্সের নাম, পরিচালনকারী প্রতিষ্ঠান ও যারা অংশ নিতে পারবেন, তাদের বিস্তারিত বিবরণ:
আগামী ১৮-১৯ জুন ‘মহামারিতে সুশাসন অনুশীলন’ শীর্ষক কোর্স অনুষ্ঠিত হবে ন্যাশনাল সেন্টার ফর গুড গভর্ন্যান্স মুসৌরতে। এতে অংশ নিতে পারবেন জাতীয়/বিভাগীয়/জেলা পর্যায়ে প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তারা।
আগামী ২২ জুন 'মহামারি মোকাবিলায় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক কোর্স অনুষ্ঠিত হবে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, যোধপুরে । এতে অংশ নিতে পারবেন হাসপাতাল পরিচালক এবং চিকিৎসকগণ।
আগামী ২৪ জুন 'কোভিড মহামারিতে সংক্রমণ রোধ, নিয়ন্ত্রণ ও বায়োমেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক কোর্স অনুষ্ঠিত হবে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, যোধপুরে। এতে অংশ নিতে পারবেন চিকিৎসক এবং নার্সিং কর্মকর্তারা।
আগামী ২৬ জুন 'কোভিড-১৯ মহামারিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা’ শীর্ষক কোর্স অনুষ্ঠিত হবে। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস, যোধপুর। এতে অংশ নিতে পারবেন কাউন্সেলর এবং চিকিৎসকগণ।
নিজেদের সেরা অনুশীলনগুলো বিনিময় এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে ভারতের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে ইতোমধ্যে ৬টি কোর্স পরিচালনা করেছে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ এর মত ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ।
১৭ এপ্রিল ২০২০ থেকে অনলাইনে পরিচালিত এই বৈশ্বিক কোর্সগুলিতে বাংলাদেশ থেকে ৩৪৭ জন মেডিকেল পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেছিল। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস ভুবনেশ্বর বাংলাদেশের জন্য বাংলা ভাষায় কোভিড ১৯ পরিচালনার উপর একটি কোর্স ডিজাইন ও পরিচালনা করে। ১২-১৩ মে ২০২০ অনুষ্ঠিত এই কোর্সে বাংলাদেশ থেকে ১৫৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক অংশ নিয়েছিলেন।
ভারত ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিজেদের সেরা অনুশীলনগুলো বিনিময় বিষয়ে আলোচনার জন্য ভিডিও সম্মেলন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়। এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট, সার্জিক্যাল মাস্ক, সার্জিকাল ল্যাটেক্স গ্লাভস,হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার তিনটি চালান বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করে।
২০২০ সালের ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে উদ্ভুত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। সক্ষমতা বৃদ্ধি মহামারি পরিচালনার একটি অবিচ্ছেদ্য দিক।
বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিকূল সময়ে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ভারত। কোভিড-১৯ পরিচালনায় আমাদের অব্যাহত সহযোগিতা এই মহামারি সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৯ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
টিআর/ওএফবি