এতে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
সদর রোড ঘুরে এবং বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভোলা শহর ও আশেপাশের এলাকায় রয়েছে শত শত ওষুধের দোকান। কিন্তু ওই সব দোকানে নেই করোনা প্রতিরোধী সুরক্ষা সরঞ্জাম। বিশেষ করে স্যাভলন, হেক্সিসল ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। দোকানে দোকানে ঘুরে এসব উপকরণ পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
ক্রেতা ও সেচ্ছাসেবী সংগঠক আদিল হোসেন তপু বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে ভোলার বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও গ্লাভসের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। এরফলে, আমারা সাধারণ মানুষ নিজেদের সুরক্ষা করে চলাফেলা করবো তা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি যেন বাজারে মনিটরিং বাড়ানো হয়।
মাকসুদ নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, একটি ওষুধের জন্য আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ওষুধ পাইনি। তারা বলছে বাজারে সরবরাহ কম। অন্য রোগীরাও ওষুধ ঠিকমত পাচ্ছেন না।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী নেতা আবিনাশ নন্দী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি প্রত্যেকটি ওষুধের দোকানে যেন নামি কোম্পানির সঠিক ওষুধ বিক্রি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার ওষুধ ও সরঞ্জাম যেন সরবরাহ থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উষা ফার্মেসির ব্যবসায়ী নান্টু কর্মকার ও দে মেডিক্যাল হলে ব্যবাসয়ী বিমান মিত্রসহ অনেকে বলেন, করোনাকালীন সময়ে বাজারে নাপা, স্যাভলন, হ্যাক্সিসল, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ এ জাতীয় সব ওষুধ কোম্পানি দিচ্ছে না। যদিও কিছু পরিমাণ সরবরাহ আসে তা খুবই কম। তাই আমরা ক্রেতাদের দিতে পারছিনা। মানুষের চাহিদা অনুয়ায়ী ওষুধ দিতে না পেরে মানুষ যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছে আমরাও লোকসানের মুখে পড়ছি।
এ ব্যাপারে ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাব নেই, যদি কোনো ফার্মেসি কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তাহেলে আমারা প্রশাসন ও স্বাস্থবিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেবো এবং সতর্ক করে দেবো। কারণ এখানে ওষুধসহ সুরক্ষা সামগ্রীর অভাব নেই।
অপরদিকে, সুরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট কাটিয়ে স্বাভাবিক হবে ভোলার বাজার এমনি প্রত্যাশা ভোলাবাসীর।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
এনটি