সম্প্রতি একটি ঘটনা। সৈয়দপুর শহরের পৌরসভা সড়কে একটি বাড়ির সামনে উৎসুক জনতার ভিড়।
সারাদিন করোনা উপসর্গের রোগীদের স্যাম্পল বা নমুনা সংগ্রহ করেন ডা. রনী। তার দলে আছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাবরেটরি টেকশিয়ান আবু তাহের সিদ্দিক, আল-আমিন ও মামুনুর রশীদ।
কথা হয় ডা. আরমান হোসেন রনির সঙ্গে। ওই মেডিক্যাল অফিসার বাংলানিউজকে বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর এখানে যোগদান করি। আরমানের বাড়ি সৈয়দপুর শহরের বাবুপাড়ায়। তার বাবা শাহ আলম সরকারি চাকরিজীবী। নতুন চাকরি, নিজ শহরে বদলি। ভালোই লাগছিল।
তিনি বলেন, মার্চে শুরু হয় বৈশ্বিক মহামারি করোনাকাল। এসময় করোনা টেস্ট দলের দায়িত্ব পাই। স্যাম্পল সংগ্রহ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। প্রতিমুহূর্তে নিজেও আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। এমন কথার জবাবে তিনি বলেন, চিকিৎসক মানে সেবক, চিকিৎসক মানে ঝুঁকি আর ঝুঁকি দেখে পালিয়ে যাওয়া চিৎিসকের কাজ নয়। দায়িত্ব পেয়ে মনে হলো দেশের জন্য যুদ্ধের ডাক পেয়েছি। দেশের মানুষের জন্য আমার দল কাজ করছে, এটাও অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
ডা. আরমানের দল এতো দিন ধরে ৪২৮টি নমুনা সংগ্রহ করেছে। এরমধ্যে ৪০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু আলেমুল বাসার বাংলানিউজকে বলেন, ডা. আরমান হোসেন রনি একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তার দলের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
এনটি