বুধবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে কথা হয় বিএসএমএমইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া সঙ্গে।
তিনি বলেন, হাসপাতালের কেবিন ব্লক পুরো ভবন করোনা ইউনিট করা হচ্ছে।
এছাড়া আমাদের বেতার ভবনকে আইসোলেশন সেন্টার করা হবে। সেখানে ১৫০ জন রোগী থাকতে পারবে। তবে সেখানে সেন্টাল অক্সিজেন আপাতত করা হচ্ছে না, সিলিন্ডার অক্সিজেন থাকবে।
বিএসএমএমইউ কেবিন ব্লকের আইসিইউ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, কেবিন ব্লকের ৭ তলায় ২১ আইসিইউ বেড আছে। এছাড়া ৮ তলায় ১৬টি এইচডিইউ বেড আছে। আশাকরি আগামী সপ্তাহে আমরা করোনা রোগীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। অলরেডি চিকিৎসকদের ডিউটিরত রোস্টারের কাজ প্রায় শেষ। হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকদের জন্য কেবিন ব্লকে কোন ওয়ার্ড বরাদ্দ দেওয়া হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহামারি করোনাকালে, আক্রান্ত সবাই যেন সঠিকভাবে চিকিৎসা পায় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
বিএসএমএমইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া আরও বলেন, দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালের অনেক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছে। এদের পাশাপাশি নার্সসহ স্টাফরা অনেকেই আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসকের আক্রান্তের মধ্যে একজন চিকিৎসককে আমরা হারিয়েছি। তার নাম গাজী জহিরুল হাসান। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এছাড়া আক্রান্তদের অধিকাংশই সুস্থ হয়ে পুনরায় কাজে যোগদান করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
এজেডএস/আরএ