শনিবার (২৭ জুন) সকালে রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি।
ল্যাবটি স্থাপনের জন্য শুক্রবার (২৬ জুন) সকালে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসার হাতে ৬৯ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
রাঙামাটিতে মেডিক্যাল কলেজ থাকলেও পিসিআর ল্যাব এবং সদর হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় এখানকার জনগণ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
পিসিআর ল্যাব পেয়ে এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে রাঙামাটিবাসী। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বাংলানিউজকে বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ জেলাবাসীর দাবি পূরণ হওয়ায় এর চেয়ে খুশি কী আর থাকতে পারে। এ জন্য দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি। এখন আমাদের পরবর্তী দাবি আইসিইউ স্থাপন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) একেএম মামুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, রাঙামাটি একটি দুর্গম জেলা। এখানে পিসিআর ল্যাব না থাকায় করোনা মোকবিলা করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। আমাদের কঠিন পথকে যারা সহজ করে দিয়েছেন সেই বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি এবং সচিব পবন চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বাংলানিউজকে বলেন, পিছিয়ে পড়া অঞ্চল রাঙামাটিবাসীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি পাহাড়ের মানুষের মানবিক দাবি মিটানোর জন্য প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক মঙ্গল ও সফলতা কামনা করছি।
রাঙামাটির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্নবুনন’ এর প্রতিষ্ঠাতা নুর তালুকদার মুন্না বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অত্যন্ত খুশি। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে হাতে এসে ধরা দিয়েছে। এ জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
জেলার স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘জীবন’ এর সাধারণ সম্পাদক সাজিদ বিন জাহিদ বাংলানিউজকে জানান, পিসিআর ল্যাবের সংবাদ শুনে আমি হতবাক যে আমাদের দাবি পূরণ হয়েছে। এজন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে আজীবন মনে রাখবে পাহাড়বাসী।
** বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে রাঙামাটিতে পিসিআর ল্যাব
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
আরএ