শনিবার (৪ জুলাই) বিকেলে বিএসএমএমইউ’র সেকশন অফিসার (জনসংযোগ) প্রশান্ত কুমার মজুমদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসএমএমইউতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন ৩ শিফটে ৬০ চিকিৎসক, ১০০ নার্স, প্যারামেডিকস, ওয়ার্ড বয়, এমএলএসএস ও ১০০ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত রয়েছেন।
‘প্রথম এক সপ্তাহে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ২৬০ জন করোনা আক্রান্তদের সেবা দেবেন। পরবর্তী সপ্তাহে অন্য চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে গঠিত নতুন আরেকটি টিম রোগীদের সেবায় নিয়োজিত হবেন। ’
২৪ ঘণ্টাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা সেন্টারে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও রোগী ভর্তি কার্যক্রম চালু থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ৩৭০ শয্যার মধ্যে ‘কেবিন ব্লকে’ শয্যার সংখ্যা ২৫০টি এবং ‘বেতার ভবনে’ শয্যার সংখ্যা ১২০টি। ‘কেবিন ব্লকে’ ২৫০ শয্যার মধ্যে এমার্জেন্সি রোগীদের জন্য রয়েছে ২৪টি শয্যা। আইসিইউ শয্যা আছে ১৫টি। কেবিন ব্লকে ‘সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টও’ স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া রোগীদের সেবা নিশ্চিতে হাই-ফ্লো ন্যাসাল ক্যানোলা, নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর- যেমন- সি-প্যাপ, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি শয্যায় রয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপোর্টসহ অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধা। মূলত গুরুতর অসুস্থ রোগীরাই এখানে ভর্তি হবেন। অন্যদিকে, বেতার ভবনের ১২০ শয্যায় ভর্তি হবেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মডারেট রোগীরা।
ব্বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ জুলাই) সকালে কেবিন ব্লকে করোনা সেন্টার চালুর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
পিএস/এইচজে