বিরল এই রোগে আক্রান্ত দুটি শিশু ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এপ্রিল মাসে সর্ব প্রথম যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকায় বেশ কিছু শিশুর মধ্যে এই রোগ ধরা পড়ে।
যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়ার পরে দেখা গেছে এই রোগে আক্রান্ত কিছু শিশুর মধ্যে করোনা সংক্রমণ রয়েছে।
গত ১৫ এবং ২৭ মে বাংলাদেশে দুটি শিশুর মধ্যে এই রোগের উপস্থিতি পাওয়া যায়। বিরল এই রোগে আক্রান্ত দুটি শিশু ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে একজনের বয়স ৩ মাস এবং আরেক শিশুর বয়স ২ বছর দুই মাস।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দুই শিশুরই যথাক্রমে ৫ ও ৭ দিন ধরে ১০২ এবং ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট জ্বর ছিল। এর সঙ্গে ছিল ডায়রিয়া, চোখ ও ঠোঁট লাল হয়ে যাওয়া এবং পায়ের হালকা ফোলা ভাব। তারা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগে শিশুদের আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, যেহেতু এই রোগটি করোনার সঙ্গে সম্পর্কিত, সেজন্য মহামারির সময় শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, শিশুদের মধ্যে যদি—জ্বর, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি, ঘাড়ে ব্যথা, র্যাশ, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং বেশি ক্লান্ত অনুভব করার লক্ষণগুলো থাকে তবে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
তবে সব শিশুর ক্ষেত্রে একই রকমের উপসর্গ নাও থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল। সংস্থাটি বলেছে আরো কিছু উপসর্গ থাকতে পারে, যেমন—শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা, বুকে চাপ ও ব্যথা অনুভব করা, জেগে থাকতে কষ্ট হওয়া, ঠোঁট এবং মুখ নীলাভ হয়ে যাওয়া।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগ থেকে শিশুদের রক্ষার করার উপায় হচ্ছে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের কাছ থেকে দূরে থাকা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, ঠিক একই ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোমের ক্ষেত্রে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
এমজেএফ