ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে চলতি বছর ২২০ জনের মৃত্যু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৪, অক্টোবর ৯, ২০২৫
ডেঙ্গুতে চলতি বছর ২২০ জনের মৃত্যু স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম

ঢাকা: চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম। সে সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর  জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেশি হলেও মৃত্যুর হার কম।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক  সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তারা এসব তথ্য জানান। এ সময়ে‌ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, ২০২৩ ক্যালেন্ডার বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল তিন লাখের বেশি এবং মৃত্যুবরণ করেছিল এক হাজার ৭৫০ জনের মতো। ২০২৪ ক্যালেন্ডার বছরে আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ ৫ হাজারের মতো মৃত্যুবরণ করেছিল ৫২০ জনের মতো। এবার আমরা ক্যালেন্ডার বছরের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছি। গতকাল (৮ অক্টোবর) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ২২০ জন। ক্রমান্বয়ে ডেঙ্গু যে প্রতিরোধের বিষয়টা, সেটি আমরা নির্মূল করতে পারিনি, কিন্তু সরকারের প্রচেষ্টায় আমরা সফলতার দিকে এগোচ্ছি। সামনে একজনও মৃত্যুবরণ করবে না, আমরা সেদিকে এগোচ্ছি। যতটা প্রতিরোধ করা সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি।

এ সময় ডেঙ্গু সংক্রমণের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, এবার গতবারের চেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার কম হচ্ছে। আমরা যে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছি এবং পরিসংখ্যান এবং হাসপাতাল থেকে যে মৃত্যুর যে তথ্য পাচ্ছি, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনই বেশিরভাগ রোগী ৫০ শতাংশের বেশি মারা যাচ্ছে। তার মানে রোগের যে আক্রমণ হয়েছে, এটা অনেক আগে। রোগীরা হাসপাতালে পরে এসেছে। আমরা হাসপাতলে যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবস্থাপনার চেষ্টা করছি।

মহাপরিচালক আরও বলেন, এখন যেটা সবচেয়ে বড় বিষয় সেটা হলো, জনগণের সচেতনতা। যেহেতু মশা উৎপন্ন হওয়ার বিষয় আছে, সেজন্য মশা ধ্বংসেরও বিষয় আছে। তাদের লার্ভা ধ্বংস করার বিষয় আছে। লোকজন যাতে প্রোটেকটেড থাকে সেজন্য মশারি টাঙানো। এগুলো খুবই জরুরি। এগুলো হচ্ছে মূলত ব্যক্তিগত পর্যায়ের বিষয়। এগুলো যদি আমরা অবজ্ঞা করি তবে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া মুশকিল। ডেঙ্গু হলেও আমরা প্রথম পর্যায়ে যদি শনাক্ত করতে পারি, ডেঙ্গুর চিকিৎসা বাসায় বসেই হয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। সিভিআর পর্যায়ে না গেলে হাসপাতালে যাওয়া জরুরি নয়। এর সম্পর্কে সম্যক ধারণা এবং সচেতনতার অভাব ও অবহেলার কারণে আমাদের মূলত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার বেড়ে যাচ্ছে।

এসকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।