বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে পটুয়াখালী ও ভোলা জেলা ব্যতিত বিভাগের চার জেলায় ৮৬ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন।
পাশাপাশি সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করা বরিশাল নগরের মুসলিম গোরস্থান রোড এলাকার শিরিন (২৪ দিন), সাগরদী এলাকার সিদ্দিক আলী (৮০) ও পিরোজপুর সদরের ছোমেদ শেখ (৬০) এর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা পজেটিভে এসেছে। এ নিয়ে বিভাগটিতে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬ জনে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ রোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ (বিসিসি) বিভাগের ছয় জেলায় মোট ২৪ হাজার ৬০১ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ২০ হাজার ৮১৬ জনকে। আর এর মধ্যে ১৭ হাজার ৭১৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তিন হাজার ৭৮৫ জন। এ পর্যন্ত এক হাজার ৯০৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৬১০ জন এবং এরই মধ্যে এক হাজার ৭৬ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫১ জনের করোনা পজিটিভ ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
সোমবার (১৩ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বিভাগটির মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় এক হাজার ৯০৭ জন, পটুয়াখালীতে ৬৮৮ জন, ভোলায় ৩৯৯ জন, পিরোজপুরে ৪০৬ জন, বরগুনায় ৩৯৭ জন ও ঝালকাঠিতে ৩৩৩ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গোটা বিভাগে এক হাজার ৫৯০ জন করোনা পজিটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিভাগটিতে করোনা আক্রান্ত মোট মৃত্যু ৮৬ জনের মধ্যে রয়েছেন বরিশাল নগরসহ জেলায় ৩৩ জন, পটুয়াখালীতে ২৫ জন, ঝালকাঠিতে ১১ জন, পিরোজপুরে সাত জন, বরগুনায় পাঁচ ও ভোলায় পাঁচ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
এমএস/আরআইএস