ঢাকা: দেশে করোনা ভাইরাস আঘাত আনার সাথে সাথে প্রথম দিকে মানুষের মনে প্রচণ্ডরকম ভয় কাজ করতো। এসময় অনেক সাহসিকতা ও সেবার মন নিয়ে মৃত্যুঝুঁকিতেও করোনা রোগীদের সেবা দিয়েছেন অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসময় চিকিৎসকদের পাশাপাশি করোনা রোগীদের ভর্তির শুরু থেকে রোগীদের সামনে গিয়ে কাজ করেছেন যে ব্যক্তি, তিনি ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিন। বর্তমানেও তিনি ঢামেকের করোনা ইউনিট নতুন ভবনে করোনা রোগীদের সেবার কাজ করে যাচ্ছেন।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে কথা হয় ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজের সাথে। তিনি জানান, প্রথম দিকে করোনায় কেউ মারা গেলে অনেক স্বজনরা কাছে তো দুরের কথা হাসপাতালেই আসতো না। এমনও দিন গিয়েছে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে নিয়ম অনুযায়ী করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিকে দাফন করা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আর জানান, করোনার শুরুর দিকে হাসপাতালে যখন রোগী আসতে শুরু করে তখন জরুরী বিভাগের মুখে একটি ছোট রুম নিয়ে করোনা রোগীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। তখন থেকেই করোনা রোগীদের সেবায় কাজ করে আসছি। পরে করোনা রোগী সংখ্যা বাড়তে থাকলে বার্ন ইউনিট খালি করে বড় আকারে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে গেলে ১০ তলা নতুন ভবনে পুরাটা খালি করে সেখানে করোনা রোগীর ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানেও নতুন ভবন ও বার্ন ইউনিটে করোনা রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, করোনার রোগীদের ভর্তির সময় বার্ন ইউনিটে ওয়ার্ড মাস্টারের দায়িত্ব পালন করেছি। অনেক করোনা রোগী আমার চোখের সামনে মারা গেছে। তারপরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুন ভবনের আরও বড় দায়িত্ব দেন। এখন সেখানেই আছি। আমার লোকদের নিয়ে করোনা রোগীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। করোনার শুরু থেকে এপর্যন্ত আমি ৪ বার করোনা পরীক্ষা করেছি। আল্লাহর রহমতে সব পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
এজেডএস/এমকেআর