ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ভারতফেরত ১০ করোনা রোগীর পলায়ন, ‘ভারতীয় ধরন’ ছড়ানোর শঙ্কা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
ভারতফেরত ১০ করোনা রোগীর পলায়ন, ‘ভারতীয় ধরন’ ছড়ানোর শঙ্কা ...

যশোর: যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে পালিয়েছেন ভারতফেরত ১০ করোনা রোগী। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীদের অবহেলার কারণে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

এতে দেশে করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে রোববার (২৫ এপ্রিল) বিকেলের মধ্যে পালিয়ে যান তারা।  

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৩ এপ্রিল) বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে দেশে আসেন অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি। সেখানে নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদিন সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তারা হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।

রোগীরা হলেন- যশোর শহরের বিমান অফিস মোড়ের আবুল কাসেমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৭), খালধার রোডের বিশ্বনাথের স্ত্রী মালা দত্ত (৫০), সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (১৯), একই গ্রামের একরামের স্ত্রী রোমা (৩০), প্রতাপকাঠি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মমিন,  রামকান্তপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নাসিমা বেগম (৫০), বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫), ঝিনাইদাহ জেলার কালীগঞ্জের মনোতষের স্ত্রী শেফালি রানী, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রামরাইল গ্রামের আহম্মদের সানার ছেলে আমিরুল সানা ও একই জেলার রুপসা এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল (১৭)।

তবে, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের দাবি, মাত্র দুজন রোগী পালিয়েছেন। হাসপাতালে দেওয়া নাম ঠিকানা ঠিক থাকলে তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব।  

এসময় তিনি বলেন, ভারত থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে আসা রোগীকে হাসপাতালে পুলিশ দিয়ে যাবে। একইসঙ্গে তাদের পাসপোর্ট পুলিশ হাসপাতালে জমা করবে। কিন্তু এ দশজনের ক্ষেত্রে তার কোনোটাই করা হয়নি। কোনো রোগী যাতে পালাতে না পারে সেজন্য বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার বিষয়ে আমি পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা একজন সিনিয়র চিকিৎসক বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যদি কোনো পরিবারে থাকে তার মাধ্যমে প্রথমে তার পরিবার এবং আশপাশের লোকজনও আক্রান্ত হতে পারেন। কেননা করোনার ভারতীয় ধরন উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে পালিয়ে যাওয়া রোগীরা যদি ভারতীয় ধরনের বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
ইউজি/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।