ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কখনো হাসি কখনো কান্না করে বাড়ি গেল সেই আব্দুল্লাহ!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
কখনো হাসি কখনো কান্না করে বাড়ি গেল সেই আব্দুল্লাহ!

ঢাকা: মায়ের কোলে কখনো হাসি, কখনো কান্না করতে করতে সুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতাল থেকে বাড়ি গেল সেই শিশু আব্দুল্লাহ (৬ মাস)।  

গত (৬ জানুয়ারি) শ্যামলীতে অবস্থিত আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে বিল পরিশোধ করতে না পারায় চিকিৎসাধীন থাকা যমজ দুই শিশুকে বের করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পরে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় মারা যায় আহমেদ (৬ মাস)। আর আব্দুল্লাহকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হলে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ওই হাসপাতালের মালিককে গ্রেপ্তার করে।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে র‌্যাব-৩ কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. জুলকার নায়েন প্রিন্স শিশু আব্দুল্লাহ জন্য কিছু উপহার সামগ্রি তার মা আয়েশা বেগম হাতে তুলে দেন।

তিনি জানান, আমার বাংলাদেশ হাসপাতালের বিল দিতে না পারায় কর্তৃপক্ষ জমজ দুই শিশুকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল নিয়ে আসার পথে মারা যায় আহমেদ। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় আব্দুল্লাহকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হলে আমরা হাসপাতাল মালিককে গ্রেপ্তার করি।  

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যে অ্যাম্বুলেন্স চালক শিশু দুটির মা আয়েশা বেগমকে প্রভাবিত করে আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে নিয়ে গেছেন, তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

তিনি আরও জানান, হাসপাতালে চিকিৎসকরা শিশুটিকে ৩০ দিন পর আবার ফলোআপে আসতে বলেছে। আমাদের সবরকম সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিশু আব্দুল্লাহর মা আয়েশা বেগম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমার আব্দুল্লাহ এখন সুস্থ আছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু অপর এক শিশু সন্তানকে হারিয়েছি। তাকেও আজ সুস্থ করে বাড়ি নিতে পারতাম, যদিও ওই হাসপাতালে নিয়ে না যেত।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিল পরিশোধ করতে না পারার কারণে আমার সন্তানকে আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়ে যারা আমার সন্তানকে হত্যা করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি আমি দেখতে চাই।

ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, শিশুটি হাসপাতালে ভর্তির পরপরই আমাদের চিকিৎসকরা সর্বাত্মক চিকিৎসা দিয়েছে। সব সময় আমি খবর নিয়েছি। ওষুধপত্র থেকে যত রকম সহযোগিতা লাগে সব কিছুই দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ তিনি জানান, খুবই ভালো লাগছে শিশুটি অসুস্থ হয়ে মার সাথে বাড়ি যাচ্ছে। আমাদের হাসপাতালে সব রোগীকেই চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবে চিকিৎসা দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
এজেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।