ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স 

মেশিন বিকল, ৫ বছর ধরে বন্ধ এক্স-রে সেবা

মোস্তাফিজুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
মেশিন বিকল, ৫ বছর ধরে বন্ধ এক্স-রে সেবা

দিনাজপুর: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেশিন বিকল হয়ে পাঁচ বছর ধরে এক্স-রে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।  

ই-টেন্ডারের মাধ্যমে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এক্স-রে মেশিন কেনা হলেও ভালো মানের না হওয়ায় সেই মেশিনও বিকল হয়ে পড়ে আছে।

 

এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বাড়তি খরচে অনিবন্ধিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো থেকে এক্স-রে সেবা নিতে হচ্ছে।

এদিকে এক্সরে মেশিন বিকল হওয়ায় এ বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফার) হামিদুর রহমান কাজল এখন ফার্মেসিতে দায়িত্বরত আছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, রোগীদের রোগ নির্ণয়ের সুবিধার্থে ২০০৩ সালে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে বিভাগ চালু হয়। এরপর থেকেই প্রতিদিন ইনডোরের অন্তত সাত-আটজন রোগীর এক্স-রে করা হতো। কিন্তু গত ২০১৭ সাল থেকে এক্সরে মেশিন বিকল হওয়ায় প্রায় পাঁচ বছর ধরে তা বন্ধ। ফলে বাধ্য হয়েই হাসপাতালে সেবা নিতে আগত রোগীদের রোগ নির্ণয়ে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিকে গিয়ে অতিরিক্ত খরচ গুণতে হচ্ছে।

এক্স-রে সেবা কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে গত বছরে উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের (ইউজিডিপি) আওতায় বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ লাখ টাকায় ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনার ই-টেন্ডার হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাফাত এন্টারপ্রাইজ প্রা. লিমিটেড যন্ত্রপাতি সরবরাহের কাজটি পায়। পরে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সেসব মালামাল হাসপাতালে সরবরাহ করে। তবে সরবরাহকৃত এক্স-রে মেশিনটি বারকোডবিহীন পুরনো এবং যন্ত্রটির অনেক জায়গায় দাগ ও মরিচা পড়ার অভিযোগ ওঠে।

এ অভিযোগ ওঠার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা এলজিইডি বিভাগের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় প্যাকেটবন্দি হয়ে আছে মেশিনটি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, রোগীদের ভোগান্তি লাঘবে এক্স-রে মেশিন চালু করতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসানুর রহমান চৌধুরী বলেন, উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পুরনো যন্ত্রপাতি পরিবর্তনের কথা জানানো হয়েছে। অন্যথায় বিল দেওয়া যাবে না।  

তিনি আরও বলেন, এ সমস্যা সমাধানের সঙ্গে নতুন এক্স-রে মেশিনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি চালাচালি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।