ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

নন্দনে বাংলাদেশি সিনেমা দেখতে দীর্ঘ লাইন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৩
নন্দনে বাংলাদেশি সিনেমা দেখতে দীর্ঘ লাইন

কলকাতা: বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় শহরের ঐতিহাসিক নন্দনের প্রেক্ষাগৃহগুলোয় শনিবার (২৯ জুলাই) শুরু হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) উৎসবের সূচনা করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এবং পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ও নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু।

সম্পূর্ণ বাংলাদেশের ছবি নিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব হয়ে আসছে। এ বছর সেই উৎসব ৫ম বর্ষে পদার্পন করল। স্বভাবতই শহরবাসীর মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল। তার ওপর শনিবার মহরমের ছুটি থাকায় নন্দনে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এ দিন প্রথম শো হিসেবে কলকাতাবাসীকে দেখানো হয় ‘হাসিনা: এ ডটার্স টেল’। এটি দেখতে দর্শকদের লম্বা লাইন পড়ে যায়।

চলচ্চিত্রটি দেখে কলকাতার তরুণ প্রজন্মে রোশন বলেন, ওনার (শেখ হাসিনা) সম্বন্ধে এত ডিটেইলে জানতাম না। শ্রদ্ধা বেড়ে গেল। পাশাপাশি তিনি যেভাবে আমাদের ‘পরান’, ‘স্ফুলিঙ্গ’, ‘গেরিলা’র মতো ছবি দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, সে জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

ওই তরুণ আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ আগামী বছর প্রধানমন্ত্রীকে চলচ্চিত্র উৎসবে দাওয়াত দেওয়া হোক। আমরা ওনাকে দেখতে চাই। ’

এ বিষয়ে কলকাতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেছেন, ‘আমরা জানি না এ দাবি পূরণ করতে পারব কিনা, তবে দর্শকদের দাবি আমরা ঢাকায় পৌঁছে দেব। বাকি সবার সাথে আমিও দাবিতে যোগ দিতে রাজি আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে আসেন, সেটা আমাদের সবার জন্য আনন্দের। ’

প্রথম দিনে নন্দনের ১ এবং ২ প্রেক্ষাগৃহে ‘হাসিনা: এ ডটার্স টেল’সহ দেখানো হয়, ‘জেকে-৭১’, ‘স্ফুলিঙ্গ’, ‘পরাণ’, ‘দামাল’ ও ‘বিক্ষোভ’। প্রতিটা সিনেমাতেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

দর্শকদের জন্য প্রেক্ষাগৃহ উন্মুক্ত থাকলেও এবার টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ যে আগে টিকিট সংগ্রহ করবেন তিনিই প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, গত বছর দেখা গিয়েছিল, প্রেক্ষাগৃহের ২০০ আসনের জন্য প্রায় দুই হাজার দর্শক লাইন দিয়েছেন। অনেকই প্রবেশ করতে না পেরে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে এ বছর এটা অস্থায়ী টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা আগে টিকিক সংগ্রহ করবেন তারাই প্রবেশ করতে পারছেন। বাকিরা নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে কলকাতায় ৫ম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব জমে উঠেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ২৮ জুলাই, ২০২৩
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।