কলকাতা: ভারতের কংগ্রেস দলীয় সংসদ সদস্য শশী থারুর এবং পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল সংসদ সদস্য সদস্য মহুয়া মৈত্রের বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
যদিও ভাইরাল হওয়া সেই সব ছবির সত্যতা বাংলানিউজ যাচাই করেনি।
তবে দেখে বোঝা যাচ্ছে, দেশে বা বিদেশে ব্যক্তিগত কোনো পার্টি বা নৈশভোজের সময়ে এসব ছবি তোলা হয়েছে।
সবুজ ড্রেসে নীল সোফায় মহুয়া মৈত্র। হাতে শ্যাম্পেইনের গ্লাস। ঠোঁটে সিগার। পার্টিতে মহুয়াকে সঙ্গ দিচ্ছেন শশী থারুর।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল দুই এসপির এমন সব ছবি দেখে নেটিজেনদের প্রশ্ন, ‘হোয়াটস কুকিং বিটউইন মহুয়া অ্যান্ড শশী?’
ছবিগুলো ভাইরাল হতেই মুখ খুলেছেন তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র। তিনি বিজেপির আইটি সেলকে দুষেছেন।
তার দাবি, ক্রপ করে ছবিগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হচ্ছে। সাহস থাকলে তারা যেন ফুল ইমেজগুলি আপলোড করে।
মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন, এটি একটি ডিনার পার্টির ছবি। তবে সেই পার্টিতে শশী থারুর এবং তিনি ছাড়াও আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তাদের ছবি ক্রপ করে দেওয়া হয়েছে।
মহুয়া তার এক্সএ (টুইট) আরও লিখেছেন, আমি সাদা ব্লাউজের থেকে গ্রিন ড্রেস অনেক বেশি পছন্দ করি। বাংলার মেয়েরা জীবনকে উপভোগ করে, মিথ্যাকে নয়।
ধূমপানের বিষয়ে মহুয়া লিখেছেন, আমি স্মোক করি না। অ্যালার্জি রয়েছে। অন্য এক বন্ধুর সিগার নিয়ে মজা করে পোজ দিচ্ছিলাম মাত্র।
মূলত, পৃথক রাজনৈতিক দলের এমপি হলেও দিল্লির রাজনৈতিক বৃত্তে মহুয়া ও শশী ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেই পরিচিত এবং এই বন্ধুত্বের বৃত্তে আরও সংসদ সদস্যরা রয়েছেন।
এ বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কেউ মুখ না খুললেও কংগ্রেসের এক প্রবীণ সংসদ সদস্য রোববার বলেছেন, শশী বিদেশে কাজ করেছেন। মহুয়াও তাই। যে ছবি দেখা যাচ্ছে, তা আধুনিক সময়ে খুবই স্বাভাবিক ছবি। একজন জনপ্রতিনিধির ব্যক্তিগত জীবনে আনন্দ-আড্ডা থাকবে না, তা নয়। তাদের ব্যক্তিগত জীবনচর্চার কোনো নেতিবাচক প্রভাব কাজের ওপর না পড়লেই হলো। তাছাড়া রাজনীতিক মানেই পাঞ্জাবি পরে ঘুরতে হবে, এমন দর্শনও ঠিক নয়।
উচ্চশিক্ষিত, তুখোড় বাগ্মিতা, কাজে পটু এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে যথেষ্ট গুণ রয়েছে তৃণমূলের দুইবারের সংসদ সদস্য মহুয়ার। তার জীবনযাপনও বেশ সমালোচিত। একথা সত্য বহুদিন বিদেশে কাটিয়ে আসা মহুয়ার জীবনযাত্রা আর পাঁচজন এমপির মতো নয়। তবে ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে এসব যায় না বলে দাবি তুলেছে বিজেপি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ