আগরতলা, (ত্রিপুরা): তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলাসহ বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার পানি বহু বাড়িঘরে ঢুকে গেছে ফলে মানুষকে আশ্রয় শিবিরে যেতে হয়েছে।
রোববার (১ জুন) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা বন্যা পরিস্থিতি সরে জমিনে খতিয়া দেখলে। এদিন তিনি হাওড়া নদীর একাধিক জায়গায় গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী রাজধানীর রামঠাকুর স্কুল, স্বামী বিবেকানন্দ, আম্বেদকর স্কুল, প্রগতি স্কুল, মহারানি তুলসীবতী স্কুলে যে ত্রাণ শিবিরগুলো খোলা হয়েছে এগুলো পরিদর্শন করেন।
শিবিরে আশ্রয়রত মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা জানান। সেই সঙ্গে সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ওষুধ খাওয়ার পানি এবং শৌচালয়ের ব্যবস্থা করতে। বিশেষ করে বন্যার ফলে ত্রাণ শিবিরের যেসব শিশুরা এসেছে তাদের দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজধানী আগরতলার পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রশাসন কঠোর নজরদারি রাখছে পরিস্থিতির ওপর। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীসহ জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সব বাহিনীকে সতর্ক রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজধানী আগরতলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা হাওড়া নদীর পাড়ে বহু এলাকায় জনবসতি রয়েছে। প্রতিবছর বন্যা এলে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই তাদের এই অবস্থা থেকে দেওয়ার জন্য বিকল্প জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান।
বন্যার ফলে আগরতলার বটতলা এলাকার মহাশ্মশান ঘাট জলের তলায় তলিয়ে গিয়ে এই পরিস্থিতিতে মরদেহ দাহ করার কাজ বন্ধ রয়েছে। হাঁপানিয়া এলাকার শ্মশান ঘাটে মরদেহ দাহ করার কাজ চলছে।
হাওড়া নদীর পাড়ের বাঁধ এবং কাটা খালের বাঁধের উচ্চতার সমানে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে লাগাতার বৃষ্টি হলে রাজধানী আগরতলার বড় অংশ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে।
এসসিএন/এএটি