ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৪ জুন ২০২৫, ২৭ জিলহজ ১৪৪৬

ভারত

উপনির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে জয় ধরে রাখল তৃণমূল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:২০, জুন ২৪, ২০২৫
উপনির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে জয় ধরে রাখল তৃণমূল

কলকাতা: বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যেন অ্যাসিড টেস্ট হল মমতার সরকারের।

উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় পেলো রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। দ্বিতীয় স্থানে থাকলো বিজেপি। তৃতীয় স্থানে রয়ে গেল সিপিএম- কংগ্রেস জোট। যদিও গত বিধানসভার তুলনায় ভোট বেড়েছে সিপিএম’র।

গত বিধানসভায় (২০২১ সাল) বামেরা শূন্য আসন পেলেও ভোট পেয়েছিল ১২ শতাংশ। তবে এবারের উপনির্বাচনে ভোটের শতকরা হার বেড়ে দাড়াল ২০ শতাংশ। ফলে আগামী বিধানসভায় বামেরা পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দল বিজেপিকে পেছনে ফেলতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

যদিও বিধানসভার একটি মাত্র আসনের উপনির্বাচন হয়েছিল। সোমবার (২৩ জুন) সেই ফল প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, নদীয়া জেলার কালিগঞ্জ বিধানসভা আসনের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে তৃণমুল।

উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন আলিফা আহমেদ। তার জয়ের ব্যবধান ৪৯ হাজার ৭৫৫ ভোট। দ্বিতীয় স্থান রয়েছে বিজেপি প্রার্থী আশীষ ঘোষ এবং বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী কাবিল উদ্দিন শেখ তৃতীয় স্থানে দৌড় শেষ করেছে। গত বৃহস্পতিবার কালিগঞ্জ আসনে ভোট নেওয়া হয়। এদিন ছিল তার গণনা। প্রথম থেকেই জয়ের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন আলিফা আহমেদ।

শেষ বিধানসভা নির্বাচন (২০২১ সাল) এই আসনে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নাসির উদ্দিন আহমেদ। কিন্তু তার অকাল মৃত্যুর কারণে এই আসনটি শূন্য হয়। যার ফলেই এই উপনির্বাচন। মমতার মাস্টার স্ট্রোক হিসেবে প্রার্থী করা হয় নাসির কন্যা আলিফা আহমেদকে।

গত কয়েক মাস ধরেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিসহ নানা দুর্নীতির বিষয় সামনে এসেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এসব ধোপেই টিকল না। এতকিছুর পরও স্বাভাবিকভাবে বলা যায়, ক্ষমতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে চরমভাবে মমতার সরকারের। আর তাই যেন প্রমাণ করল এবারের উপনির্বাচনে।

ভোটে চূড়ান্ত ফলাফল সামনে আসার পরই দলনেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, ভোটারদের অপ্রতিরোধ্য সমর্থনের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে এই জয় বাংলার মা-মাটি-মানুষকে উৎসর্গ করেছেন।

এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে এলাকার সব ধর্ম, সব বর্ণ, সব জাতি এবং সর্বস্তরের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আমাদের বিপুলভাবে আশীর্বাদ করেছেন। আমি নতমস্তকে তাদের আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই জয়ের প্রধান কারিগর মা-মাটি-মানুষ। আমার কালীগঞ্জের সহকর্মীরা এর জন্য প্রাণপাত পরিশ্রম করেছেন। তাদেরও আমি আমি আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সবার জন্য রইল আমার প্রণাম ও সালাম। প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদকে স্মরণ করে আমি এই জয় বাংলার মা-মাটি-মানুষকে উৎসর্গ করছি।

গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের কালিগঞ্জ আসন ছাড়া উপনির্বাচন হয়েছিল ভারতের কেরালার নীলাম্বুর আসন, গুজরাটের ভিসাভাদর ও কাদি এবং পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই কেন্দ্রগুলোর কোথাও সাবেক বিধায়কের অকাল মৃত্যু, আবার কোথাও অন্য দলে যোগদান করার ফলে উপনির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়ে। সোমবার এই কেন্দ্রগুলোতেও ফলাফল ঘোষিত হয়।

এর মধ্যে কেরলের নীলাম্বুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‌‘ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ (ইউডিএফ) প্রার্থী আরিয়াদান শওকত।

গুজরাটের কাদি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী রাজেন্দ্র কুমার চাভডা। আবার গুজরাটের ভিসাভাদর কেন্দ্রে নিজেদের জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে ‘আম আদমি পার্টি’ (আপ)। গত নির্বাচনেও এই কেন্দ্রটি আপের দখলে ছিল।

ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।