জানা যায়, কলকাতার পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য থাকছেন নারী পুলিশসহ অতিরিক্ত সাড়ে চার হাজার পুলিশ কর্মী। ১০ জন সহকারী পুলিশ কমিশনার গোটা সময় নজরদারি করবেন।
কোনো সমস্যায় পড়লে যাতে সাধারণ মানুষ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন তার জন্য খোলা হয়েছে বিশেষ ১৫টি বুথ। ১১টি নজরদারি টাওয়ার সমেত থাকছে একাধিক কুইক রেসপন্স টিম। যারা কোনো সমস্যা হলেই সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গায় পৌঁছে যাবেন।
এছাড়াও থাকছে আকাশপথে ড্রোনের নজরদারি। অনেক ক্ষেত্রে ভিড় থাকার ফলে গাড়ি নিয়ে পৌঁছাতে সময় লেগে যায়। পুলিশের সেই সমস্যা থেকে বাঁচতে থাকছে পুলিশের বিশেষ বাইক বাহিনী। এছাড়া সবসময়ের জন্য তৈরি থাকছে ১০টি অ্যাম্বুলেন্স।
নাইট ক্লাবগুলিতে নিরাপত্তার জন্য পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষীর সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে থাকছে নারী নিরাপত্তা রক্ষী। নাইট ক্লাবগুলিতে প্রয়োজনে অতিথিদের পরিচয়পত্র যাচাই করা হতে পারে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সবসময়ের জন্য নজরদারি থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশের।
পার্কস্ট্রিট ছাড়া সল্টলেকেও বিশেষ নজরদারি করা হবে বলে জানা যায়। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে নজরদারি করবে ড্রোন। তৈরি রাখা হবে বোমা ডিসপোজাল স্কোয়াড। প্রতিটি অনুষ্ঠানের টিকিটে পুলিশের স্ট্যাম্প বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নতুন বছর উদযাপনের উৎসবের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে মদ্যপান করে গাড়ি চালানো রুখতে ব্যবহার করা হবে ব্রেথ অ্যানালাইজার।
বিগত বছর এ সময়ে দুর্ঘটনা ও ছোটখাটো গোলমালের ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এ ধরনের ঘটনাগুলিকে রুখতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানায় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
এসএস/এএ