এই উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে চার দেশের মধ্যে বিবিআইএন বা ‘বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল সংযুক্তি’ চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ থেকে একদল প্রতিনিধি পরীক্ষামূলক সফরে ভারতে আসেন।
ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশ এই তিন দেশের সরকারী প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের বলেন, এক পারমিটে প্রতিবেশী সব দেশে যাতায়াতের ব্যবস্থা চালু হলে এ উপমহাদেশের অর্থনীতির চরম উন্নতি হবে৷ প্রতিবেশী দেশেগুলোর সঙ্গে দূরত্ব যত কমবে তত ভালো। ফলে, দ্রুত এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হলে সব দেশের মানুষ উপকৃত হবে৷
তবে পরিকল্পনাটি কবে বাস্তবায়ন হবে, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিন দেশের প্রতিনিধিরা। এর অন্যতম কারণ ভুটান। চুক্তি মেনে নিলেও অন্য দেশের গাড়ি ঢোকার অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে এখনও সংশয়ে রয়েছে দেশটি৷ তাদের আশঙ্কা, গাড়ি বেড়ে গেলে দূষণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে৷
এর প্রেক্ষিতে পশ্চিমবাংলার ‘অ্যাসোসিয়েশন অব কনজারভেশন অ্যান্ড নেচার’ এর কর্মকর্তা রাজ বসু বলেন, ভুটানের আপত্তি ধোপে টিকবে না৷ এখনই তো ভারতের গাড়ি ভুটানে যেতে পারে৷ ভুটানের গাড়িও আমাদের দেশে আসছে৷ তবে চুক্তি কার্যকরে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পরিকাঠামো অর্থাৎ এশিয়ান হাইওয়ে৷ নেপাল-বাংলাদেশ এবং ভুটান-বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য নির্মাণাধীন এই এশিয়ান হাইওয়ের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি৷ তাছাড়া চারটি দেশের প্রতিটি সীমান্তে ভিসার জন্য আলাদা কাউন্টার খুলতে হবে৷
তিন দেশের প্রতিনিধিরা বলেন, কয়েকটি ট্রায়াল রানের পর ফের প্রোটোকল চুক্তি হবে৷ তখনই এই চুক্তি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে৷ তবে চুক্তিটি চার দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। আমাদের নজর আরও উঁচুতে৷ আমরা চাইছি এর সুবিধা অন্য পর্যটকরাও যেন নিতে পারেন৷
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ২৫ এপ্রিল, ২০১৮
ভিএস/এনএইচটি