কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১২ আগস্ট) থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত এই আলোকসজ্জা দেখা যাবে লালকেল্লায়।
দেশের ইতিহাসে এই প্রথম লালকেল্লাকে আলো দিয়ে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আলোকসজ্জায় হলুদ রঙের এলইডিই ব্যবহার করা হয়েছে বেশি। সূর্যাস্তের পর এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো যাতে আরও ভালোভাবে ফুটে উঠে, তার জন্যই বিশেষ এই আলোর সাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই বিশেষ ধরনের আলোকসজ্জাকে বলা হয় ‘এলিমেন্ট ইলুমিনেশন’। দুর্গের ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাচীরের ওপর ২ হাজার ৫০০টি আলো লাগাতে তিন কোটি রুপি খরচ করে টানা দু’মাস কাজ করা হয়েছে।
লালকেল্লা মুঘল সম্রাট শাহজাহানের নির্মিত অন্যতম একটি নিদর্শন। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত এই দুর্গটি ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী। এরপর ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ব্রিটিশরা এই দুর্গটিকে একটি সামরিক ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করেছিল। বর্তমানে এটি ভারতের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের একটি শক্তিশালী প্রতীক। প্রতি বছর এই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লার লাহোরি গেট সংলগ্ন স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন।
এদিকে, ২০০৭ সালে লালকেল্লাকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
ভিএস/টিএ