ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের খবর মতে, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বর্ধমান জেলায় বৃষ্টির মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি হবে।
এদিকে শুক্রবার আশুরার ও শনি-রোবসহ তিন দিন ছুটি থাকায় বেড়াতেও বেরিয়েছেন কলকাতাবাসী। তবে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সমুদ্রসহ উপকূলবর্তী এলাকায় পযর্টকদের সমুদ্রে না নামার ব্যাপারে আগাম সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে জোরালো হাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলায় দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে ভ্যাপসা গরম থেকে বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে রাজ্যবাসী। অক্টোবর-নভেম্বর সাধারণভাবে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস। সেপ্টেম্বরে কখনও কখনও ঘূর্ণিঝড় হলেও তা খুব একটা শক্তিশালী হয় না। বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয়েছে, সেটিও খুব একটা শক্তিশালী নয়। অক্টোবর মাসে বর্ষা বিদায়ের পরে এবং বর্ষার আগমনের আগে এপ্রিল-মে বঙ্গোপসাগরে কোনো নিম্নচাপ তৈরি হলে সেটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বর্তমানে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টির থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে হাওয়া বইতে পারে এবং দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। এমনই জানিয়েছে কলকাতার আবহাওয়া অফিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
ভিএস/এসএইচ