শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভবনটি দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বলেন সবুজকলি সেন, বাংলাদেশ ভবনের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও এনবিসিসি’র চন্দন সেন।
চলতি বছরের ২৫ মে ভবনটি উদ্বোধন করেছিলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী। এদিকে গত মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় ভবনটি।
এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে হলে বাংলাদেশ ভবনে অবশ্যই আসতে হবে। এরকম গ্রন্থাগার ভারতের আর কোথাও নেই। বাংলা ভাষায় ৩ হাজার ৩৩৪টি ইতিহাসের বই আছে। এখানে আরও ১ হাজার বই দেবে বাংলাদেশ সরকার। এখানে এলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ইতিহাস ও রবীন্দ্রনাথের অজানা অনেক অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারবেন গবেষকরা।
বাংলাদেশ ভবনের সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার এবং সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই খোলা থাকবে বাংলাদেশ ভবন। এতে প্রবেশ মূল্য লাগবে না, তবে ভবনের ভেতর যেতে হলে লাগবে সচিত্র পরিচয়পত্র। মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি একইসঙ্গে ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। তবে ভেতরে ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবে না। প্রবেশের সময় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত৷
জানা যায়, এ ভবনে দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে রবীন্দ্রনাথের অজানা বিষয়, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের বহু অজানা তথ্য। এছাড়াও আছে বাংলাদেশের লোকশিল্পের নিদর্শন, সুলতান যুগের বিভিন্ন মুদ্রা, ব্রিটিশ আমলের মুদ্রা, টেরাকোটার মূর্তিসহ একাধিক মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ভবন ঘিরে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন উৎসুক পর্যটকরা। তবে এখনও কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। ভবনের বাইরে দু’টি ম্যুরাল তৈরি হতে যাচ্ছে। এছাড়া ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশ্বভারতীকে এককালীন আরও ১০ কোটি রুপি দেবে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এনএইচটি