বাড়ি থেকে অনেকে রাস্তায় জঞ্জাল ফেলে দেন। ফাঁকা স্থানে বা গাড়ি থেকে যেতে যেতেও অনেকেই আবর্জনা ফেলেন।
কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যের বাকি সব পৌরসভায় এই আইন পেশ করবেন পৌরমন্ত্রী।
ফিরহাদ জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান রাজ্যের সব রাস্তাঘাট, ফুটওভারব্রিজ যেন পরিষ্কার থাকে। তার পরিকল্পনায় এ প্রস্তুতি।
চলতি পথ, ফুটপাত, ফুটওভারব্রিজ বা ফ্লাইওভারে পানের পিক, থুতু দেওয়াল ভরে গেছে। এমনকি বিড়ি-সিগারেটের টুকরোও পথে পড়ে থাকে। এতে প্রতিদিন রাস্তা পরিষ্কারের পর আবর্জনা হওয়ার কারণে খুবই অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানে মুখ্যসচিব মলয় দের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করেন। ঠিক হয়, আবর্জনা ফেলার মানসিকতা মানুষ যাতে বর্জন করে তার জন্য রাজ্যজুড়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে ব্যাপক প্রচার অভিযান চালানো হবে।
সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ক্লিন কলকাতা ও গ্রিন কলকাতা এবং ক্লিন বেঙ্গল ও গ্রিন বেঙ্গল নামে স্লোগান ঠিক করেন। প্রচার চালানোর জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থুতু ফেলা ঠেকাতেও কঠোর আইন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রেও জরিমানার পরিমাণ ঠিক করা হবে। এছাড়া সিগারেটের টুকরো ফেলার জন্য রাস্তায় বসানো হচ্ছে অ্যাস-ট্রে বা ছোট বাস্কেট।
তার আগে যত্রতত্র আবর্জনা বা জঞ্জাল ফেলার ক্ষেত্রে জরিমানা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এজন্যই বিলের সংশোধনী আনা হয়েছে। এই সংশোধনীর উপর ভিত্তি করেই যে বা যারা নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আবর্জনা ফেলবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ফলে কিছুটা হলেও ফাঁকা জায়গা, রাস্তা বা ফুটপাতে জঞ্জাল ফেলার প্রবণতা কমবে বলে মনে করছে রাজ্যের পৌর দফতর।
এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়, উদ্যোগ খুবই ভালো। শহর পরিষ্কার থাকলে সবার জন্যই মঙ্গল। তবে স্বচ্ছ ভারত অভিযান কেন্দ্রের তরফ থেকে মোদি সরকার অনেকদিন আগেই নিয়েছে। এ আর নতুনত্ব কি? পক্ষান্তরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, স্বচ্ছ ভারত একটা মানসিকতা, এটা কোনো আইন নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
ভিএস/আরবি/