কিন্তু এখন ব্যক্তিগত কম্পিউটারে যে কোনো সময় নজরদারি চালাতে পারে গোয়েন্দা সংস্থা। শুধু নজরদারি নয়, খতিয়ে দেখা ও প্রয়োজনে কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রের এক নির্দেশিকায় এমন নির্দেশই জারি করা হয়েছে।
নজরদারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে দেশটির ১০টি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। এগুলো হলো- ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি), সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই), ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ), নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ড, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস, ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স, দিল্লি কমিশনার অফ পুলিশ এবং ডিরেক্টরেট অব সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্সি।
নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে যে প্রতিটি নাগরিক এ কাজে সাহায্য করতে বাধ্য। অন্যথায় গ্রেফতারও করা হতে পারে।
কেন্দ্রের এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই, গর্জে উঠেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার যদি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়, কেন তবে সাধারণ মানুষ এতে প্রভাবিত হবে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রের হাতে অনেক সংস্থা আছে। সেইসব প্রয়োগ না করে কেন সাধারণ মানুষের ভাড়ারের খবর জানতে চাইছে কেন্দ্র? এটি সাধারণ মানুষকে বিব্রত করা। এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
ভিএস/এসআই